• ইউয়েফা নেশনস লিগ
  • " />

     

    স্পেন-বিপর্যয়ের পরও লোর ওপর পূর্ণ আস্থা জার্মানির

    স্পেন-বিপর্যয়ের পরও লোর ওপর পূর্ণ আস্থা জার্মানির    

    একের পর এক গোল ঢুকছে জালে, আর সেটা অসহায় হয়ে দেখছে গোলরক্ষক- এমনকি হিটলারকেও কখনো জার্মানির এমন অসহায় আত্মসমর্পণ দেখতে হয়নি। স্পেনের কাছে ছয় গোল খেয়েছে জার্মানি, ১৯৩১ সালের পর এটাই তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়। আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এমন হার কখনো দেখতে হয়নি তাদের। তবে এমন হারের পরও জোয়াকিম লোর ওপর পুরোপুরি আস্থা আছে বলে জানিয়ে দিলেন জার্মানি জাতীয় দলের পরিচালক অলিভিয়ের বিয়েরহফ।

    ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের পর এমন চাপে পড়েছিলেন লো। শেষ পর্যন্ত সে যাত্রা চাকুরি টিকে যায় তার। দুই বছরের মধ্যে লক্ষণীয় কোনো উন্নতি ঘটাতে পারেননি দলের, এবার স্পেনের কাছে ছয় গোল খেয়ে বিপর্যয়ের ষোলকলাই পুর্ণ হলো।

    এমন একটা পরাজয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল লোয়ের কাছে, চাকুরি টিকিয়ে রাখতে পারবে বলে মনে করেন? জার্মানি কোচ প্রশ্নটা এড়িয়ে বলেছেন, সেটার জবাব তার কাছে নেই। তবে যার কাছে আছে, তিনি আশ্বস্ত করেছেন লো কে। জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকার ও জাতীয় দলের পরিচালক বিয়েরহফ সরাসরি বলেছেন, লোর ওপর থেকে এখনই আস্থা হারাচ্ছেন না তারা, ‘অবশ্যই আমরা অর ওপরেই আস্থা রাখছি। একটা খেলায় কিছু বদলে যাবে না। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

    বিয়েরহফ পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ইউরো পর্যন্ত জার্মানির কোচ থাকছেন লো-ই, ‘আপনি যখন একটা জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন তখন আপনাকে টুর্নামেন্ট থেকে টুর্নামেন্ট পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের পরের ইউরোতে সর্বোচ্চ সাফল্য পেতে হবে।’

    তবে কালকের পরাজয়টা ২০১৪ সালে জার্মানির কাছে ব্রাজিলের ৭-১ গোলে হারের সঙ্গে তুলনা করেছেন লো, ‘২০১৪ সালে ব্রাজিলের সবকিছু যেমন আমাদের বিপক্ষে ভেঙে পড়েছিল কালও তেমন হয়েছে। আশা করব একটা শুধু একটা ম্যাচ, এখন আমাদের এই ম্যাচে কী কী ভুল হয়েছে সেটা দেখতে হবে।’

    কিন্তু এমন একটা পরাজয়ের পর লো কি ভাবছেন? জার্মান কোচ বললেন, অতি আত্মবিশ্বাসটাই কাল হয়েছে তাদের, ‘আমরা বেশি সাহসী হতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই কাজ করেনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরেই আমরা সব পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছি। আমরা পজিশন, জায়গা সব ছেড়ে দিয়েছি। কোনো রকমের শৃঙ্খলা, কোনো সমন্বয় কিছুই ছিল না। সবকিছুই ভুল হয়েছে। এটা ছিল অনেক, অনেক অন্ধকার একটা রাত।’

    এমনিতেই কাল চোটের জন্য ছিলেন না কিমিখ, করোনা ভাইরাসের জন্য ছিলেন না হ্যাভার্টজ। কিন্তু পরীক্ষিত অনেককেই রেখেছিলেন লো। তবে প্রশ্ন উঠেছে গত বছর জাতীয় দল থেকে মুলার, বোয়াটেং, হামেলসদের বিদায় করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কি না। লো একরকম বলেই দিয়েছেন, এই তিন জনের জার্মান ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।

    সামনে এমন আরও অনেক প্রশ্ন অপেক্ষা করছে লোয়ের জন্য।