• লা লিগা
  • " />

     

    সেভিয়ার সাথে কষ্টের জয়েই স্বস্তি পেলেন জিদান

    সেভিয়ার সাথে কষ্টের জয়েই স্বস্তি পেলেন জিদান    


     

    চাপটা সবদিক দিয়েই বাড়ছিল জিনেদিন জিদানের ওপর। সর্বশেষ তিন ম্যাচে জয়হীন রিয়াল মাদ্রিদ, শিরোপার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছিল কিছুটা। সেভিয়ার মাঠে জয়টা খুব করেই দরকার ছিল রিয়ালের। রামোস, হ্যাজার্ড, কারভাহালদের ছাড়াই সেই কঠিন কাজটা করে এখন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন জিদান, আপাতত ধামাচাপা দিচ্ছেন তার সরে যাওয়ার সব গুঞ্জনও। সেজন্য ভিনিসিয়া্স জুনিয়রের সাথে সেভিয়া গোলরক্ষক বোনোকেও ধন্যবাদ জানাবেন। ভিনিসিয়াসের শটটা যে বোনোই জড়িয়ে দিয়েছেন নিজেদের জালে।

    গোলটা প্রথম মিনিটের মধ্যেই পেয়ে যেতে পারত রিয়াল। শুরুতেই রদ্রিগোর পাস থেকে বল পেয়েছিলেন ভিনিসিয়াস, কিন্তু বক্সের ভেতর থেকে তার ডান পায়ের জোরালো শট বক্সের ভেতর হাওয়া লাগিয়ে যায়। পাঁচ মিনিটের ভেতর বোনোর ভুলে আরও একবার এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল, এবার কীভাবে যেন সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি। ২০ মিনিটের সময় বক্সের ঠিক বাইরে থেকে টনি ক্রুসের বাঁকানো শট পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। তখনও গোলকিপারদের সেভাবে মঞ্চে আসতে হয়নি। তবে প্রথম এলেন বোনো, বেনজেমার বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া নিচু শটটা দারুণভাবে ঠেকিয়ে গোল পেতে দেননি রিয়ালকে। ওদিকে ভিনিসিয়াস, রদ্রিগোরা ভালো খেলেও বক্সের ভেতর ঢুকে বার বার খেই হারাচ্ছিলেন। সেভিয়া প্রথমার্ধে সেভাবে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি কোর্তোয়াকে।

    শেষ পর্যন্ত ৫৫ মিনিটে গোলটা পেয়ে যায় রিয়াল। এবার দারুণ কিছু পাস বিনিময়ের পর বাঁ প্রান্তে বল পান ফার্লান্দ মেন্ডি। বাঁ পায়ের ক্রসে পা ছুঁয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন ভিনিসিয়াস। তবে রিপ্লে দেখে বোঝা গেছে, বলটা আসলে বাইরেই যাচ্ছিল। বোনোর গায়ে লেগেই বরং দিক বদলে ঢুকে গেছে জালে। শেষ পর্যন্ত সেটি আত্মঘাতী গোল হিসেবেই লেখা থাকবে। এই মৌসুমে কোনো গোলরক্ষকের এটা প্রথম আত্মঘাতী গোল, আর ১৯৯১ সালের পর কোনো সেভিয়া গোলরক্ষকের প্রথম।

    এই গোলের পরেই একটু ফেরার জন্য গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে সেভিয়া। গুইদের ফ্রিকিক আর বক্সের বাইরে থেকে সুসোর দুর্দান্ত বাঁক খাওয়ানো শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। তবে ম্যাচের শেষ দিকে সেভিয়া পেয়েছিল সেরা সুযোগ। আগেও একবার ডি ইয়ংয়ের ওভারহেড কিক সরাসরি গিয়েছিল কোর্তোয়ার হাতে। এবার ওকাম্পসের আরেকটি ওভারহেড কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়েছেন নিশ্চিত্ গোল। রিয়ালও ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল, তবে কাজে লাগাতে পারেননি বেনজেমারা। ফিনিশিং নিয়ে তাই জিদানের দুশ্চিন্তা থাকবে। 

    তবে আপাতত এসব জিদান খুব বেশি এ নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। এই জয়টা যে তার দরকার ছিল অনেক।