• অন্যান্য খবর
  • " />

     

    চলে গেলেন আলেহান্দ্রো সাবেয়া

    চলে গেলেন আলেহান্দ্রো সাবেয়া    


     

    ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুশোকে যখন ফুটবলবিশ্ব স্তব্ধ, তখনই এসেছিল তার অসুস্থতার খবর। মুমূর্ষু অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল আলেহান্দ্রো সাবেয়াকে, দুই সপ্তাহ সেখানে যুদ্ধ করার পর কাল চলে গেলেন চিরতরে।

    আর্জেন্টিনার ফুটবল যারা অনুসরণ করেন সাবেয়াকে না চেনার কোনো কারণ নেই। বিশ্বকাপ নামের সোনার হরিণের স্বপ্ন তার হাত ধরেই পূরণ হতে চলেছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে গিয়েছিলেন শিরোপার একদম কাছাকাছি, ফাইনালের অতিরিক্ত মুহূর্তে মারিও গোতশের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয়। জিততে না পারলেও দেশে ফিরে বিজয়ীর সম্মান পেয়েছিলেন সাবেয়া ও মেসিরা। কোচ হিসেবে থেকে যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছিল সাবেয়াকে। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি, বিশ্বকাপের পরেই চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর লম্বা অসুস্থতার পর চলে গেলেন কাল।

    হৃৎপিন্ডের সমস্যায় ভুগছিলেন আগে থেকে। মধ্যে অবস্থা কিছুটা ভালো হয়েছিল, তবে ম্যারাডোনার মৃত্যুর দিনেই জানা যায় আরও খারাপ হয়েছে তার অবস্থা। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল শরীরের অন্যান্য জায়গায়, শেষ পর্যন্ত সেটা থেকে আর সেরে উঠতে পারলেন না। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন।

    খেলোয়াড় হিসেবে সাবেয়ার ক্যারিয়ারটা ছিল একটু অন্যরকম। রিভার প্লেটের হয়ে খেলা শুরুর পর সেই সত্তরের দশকেই পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপে। অন্য আর্জেন্টাইনরা স্পেন বা ইতালিতে বেশি গেলেও সাবেয়া গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। সেখানে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছিলেন, পরে নাম লিখিয়েছেন লিডস ইউনাইটেডেও। শেফিলদে সাবেয়া ছিলেন কাল্ট হিরো। এরপর দেশে ফিরে যোগ দেন এস্তদিয়ান্তেসে।

    কোচিং ক্যারিয়ারে এই এস্তুদিয়ান্তেসের হয়েই এরপর জিতেছেন কোপা লিবের্তাদোরেস, সেটাও ক্লাবের হয়ে ৩৯ বছর পর প্রথমবার। ক্লাব বিশ্বকাপ জেতারও খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন, অতিরিক্ত সময়েই ২০০৯ সালে বার্সা হারায় তার দলকে। এরপর ২০১১ সালে সাবেয়া দায়িত্ব নিয়েছেন আর্জেন্টিনার, মেসিকে করেছেন অধিনায়ক। নিকট অতীতে তার অধীনেই সেরা সময় কাটিয়েছে আর্জেন্টিনা। এবার চলে গেলেন আকাশী-নীলের সব স্মৃতিকে সঙ্গী করে।