• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    ইয়াসিরের ৯২, শেষবেলায় আবারও তানভীরের কবলে উলভস

    ইয়াসিরের ৯২, শেষবেলায় আবারও তানভীরের কবলে উলভস    

    একমাত্র আন-অফিশিয়াল টেস্ট, চট্টগ্রাম
    ১ম দিন, স্টাম্পস
    আয়ারল্যান্ড উলভস ১ম ইনিংস ১৫১ অল-আউট (ক্যামফার ৩৮, তানভীর ৫/৫৫, এবাদত ২/৩২, সাইফ ২/১৫) ও ২য় ইনিংস ৩৫/৪* (ডোহেনি ২০, তানভীর ৩/৯, এবাদত ১/১৭) 
    বাংলাদেশ ইমার্জিং ৩১৩ অল-আউট (ইয়াসির ৯২, সাইফ ৪৯, মাহমুদুল ৪২, তানজিদ ৪১, এডেয়ার ৩/২২, হিউম ৩/৫৬)
    উলভস ১২৭ রানে পিছিয়ে


    ইয়াসির আলি রাব্বির ৯২ রানের ইনিংসের পর শেষবেলায় তানভীর ইসলামের ৩ উইকেটে একমাত্র আন-অফিশিয়াল টেস্টে দ্বিতীয় দিনশেষে আয়ারল্যান্ড উলভের বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম। প্রথম ইনিংসে শেষদিকে দ্রুত ৩১৩ রানে বাংলাদেশ ইমার্জিংকে অল-আউট করলেও ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে আছে ১২৭ রানে পিছিয়ে থাকা সফরকারীরা।

    দিনের শুরুটা বেশ ভালই করেছিলেন আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে দুজন ফিরে গেছেন এক ওভারের ব্যবধানে, দুজনই মিস করেছেন ফিফটি-- সাইফ ১ রানের জন্য, জয় ৮ রানের জন্য। দিনের ১৬তম ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু পেয়েছিল উলভস, পেসার গ্রাহাম হিউমের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে এজড হয়েছেন সাইফ, যদিও তিনি ঠিক সন্তুষ্ট হতে পারেননি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ছিল স্পষ্ট। এতক্ষণ ভাল ড্রাইভ করে আসা জয়কে ফিরতে হয়েছে গ্যারেথ ডিলানির কুইকার থ্রু দ্য এয়ার ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে।

    বাংলাদেশ ইমার্জিং এরপর ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটিটা পেয়েছে ৪র্থ উইকেটে, ইয়াসিরের সঙ্গে তৌহিদ হৃদয় যেখানে যোগ করেছিলেন ১১২ রান। লাঞ্চের আগে ৩ উইকেটে ১৬৬ রান নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ইমার্জিং বিরতির পর কাটিয়েছে ভাল একটা সময়। দুজন মিলে ব্যাটিং করেছেন প্রায় ২৯ ওভার, রান তুলেছেন দ্রুত। 

    তাদের সে জুটি ভেঙেছেন জোনাথান গার্থ, তাকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন হৃদয়। গার্থ থামেননি সেখানেই, সে স্পেলেই ফিরিয়েছেন ইয়াসিরকেও। শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন ইয়াসির, আলগা বলের সুযোগ ছাড়েননি সেভাবে, ভাল ড্রাইভও করেছেন। তবে গার্থের সোজা বলে বিপত্তি ঘটেছে, আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন, ইনিংসে ১১টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৬টি ছয়। 

    এরপর বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের আর কোনো জুটি বড় হয়নি, ১৬ ওভারের মাঝে আর ৪৫ রান যোগ করতেই গেছে শেষ ৫ উইকেট। হিউমের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়েছেন আকবর আলি। এরপরের তিন উইকেট নিয়েছেন মার্ক এডেয়ার-- শাহাদাত হোসেন দিপু দিয়েছেন স্লিপে ক্যাচ, লাফিয়ে ওঠা বলে লিভ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ রিশাদ হোসেন, তানভীর হোসেন ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে। এবাদতকে ফিরিয়ে ইনিংস শেষ করেছেন হিউম। 

    তবে শেষেরদিকে বোলারদের সেই প্রেরণা সেভাবে কাজে আসেনি আইরিশ ব্যাটসম্যানদের। এবাদত হোসেনের বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে ফিরেছেন জেমস ম্যাককোলাম, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনিও। জেরেমি ললার ও স্টিফেন ডোহেনি ক্রিজে টিকে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ, একদম শেষে গিয়ে তানভীরের বলে ভেঙেছে তাদের রক্ষণ। ললার হয়েছেন কট-বিহাইন্ড, আর ক্রিজে আটকে থেকে ডোহেনি এলবিডব্লিউ। ললার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পারলেও ডোহেনি ক্রিজ ছেড়েছেন আম্পায়ার আঙুল তোলার আগেই। পরের ওভারে নাইটওয়াচম্যান গার্থও হয়েছেন এলবিডব্লিউ।