• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১
  • " />

     

    নেট সেশন: বাংলাদেশের ইশান কোণে ব্যাটসম্যানদের ফর্ম ভাবনার সঙ্গে স্কটিশ হুমকির মেঘ

    নেট সেশন: বাংলাদেশের ইশান কোণে ব্যাটসম্যানদের ফর্ম ভাবনার সঙ্গে স্কটিশ হুমকির মেঘ    

    বাংলাদেশ- স্কটল্যান্ড

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই, গ্রুপ বি

    আল আমেরাত স্টেডিয়াম, ওমান

    বাংলাদেশ সময়, রাত ৮টা


    এমনিতে হয়তো ম্যাচটা নিয়ে খুব একটা জল্পনা কল্পনারও কিছু ছিল না। স্কটল্যান্ড টেস্ট স্ট্যাটাসহীন দেশ, বড় আসরে খুব বড় কোনো সাফল্যও নেই। ম্যাচটা হচ্ছে এশিয়ায়, কন্ডিশনের সুবিধা বাংলাদেশেরই বেশি নেওয়ার কথা। আর বাংলাদেশ দেশের মাটিতে গত তিন মাসে হারিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে। স্কটল্যান্ডের তো তাদের সামনে দাঁড়াতে পারারই কথা নয়।

    কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশের পরীক্ষা সহজ হবে না মোটেই। বা আরেকটু খোলাসা করে বললে, সম্ভবত এই ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য গ্রুপ পর্বেরই সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। যেখানে বাংলাদেশকে হয়তো ফেবারিটই মনে করছেন না কেউ কেউ।

    সেটারও কারণ আছে। বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে জিতেছে বটে, তবে সেখানে স্পিনারদের মৃগয়ায় ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেট ছিল বধ্যভূমি। নাসুম, সাকিবদের বোলিং ছিল হিব্রু ভাষার মতো দুর্বোধ্য, মোস্তাফিজের কাটারের ভাষা সফরকারীদের জন্য ছিল চীনা ভাষার মতো কঠিন। সেখানে জয়ের সঙ্গে বোলারদের সাফল্যও ভুল আত্মবিশ্বাসের বার্তাও দিতে পারে। আবার ব্যাটসম্যানদের বড় রানের অভ্যাস ভুলে যাওয়াও হতে পারে সমস্যার কারণ।

    বাংলাদেশের ইশান কোণে মেঘ দেখতে পাওয়ার আরেকটা কারণ সাম্প্রতিক ফর্ম। বিশ্বকাপের আগে যে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল, দুইটিতেই আত্মবিশ্বাস পাওয়ার বদলে খুইয়েছে। শ্রীলংকাকে চাপে ফেলেও ম্যাচটা বের করে নিতে পারেনি, আর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে হারটা হয়েছে আরও বড়। প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পরাজয় আসল ব্যাপা নয় কখনোই। তবে বাংলাদেশের জন্য ভাবনার জায়গা হচ্ছে মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফর্মে নেই। সাকিব আইপিএল থেকে ফিরেছেন মাত্র, সেখানে বোলিংটা মন্দ না হলেও ব্যাটিংটা হয়েছে একদম ভুলে যাওয়ার মতো। লিটন-নাঈম-সৌম্যরাও গত কিছুদিন ধরে অধারাবাহিক।

    অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের এই দলটা যথেষ্ট হুমকি হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের জন্য। এর মধ্যেই কথার লড়াই জমিয়ে দিয়েছেন স্কটিশ কোচ শেন বার্গার। বাংলাদেশকে গ্রুপ পর্বে ওমান বা পাপুয়া নিউ গিনির চেয়ে এগিয়ে রাখেন না, বলেছেন সরাসরিই। স্কটল্যান্ডের যে দল, তাতে অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে তারা এগিয়ে না থাকলেও পিছিয়ে নেই খুব একটা। কাইল কোয়েটজার, রিচি বেরিংটন, ক্যালাম ম্যাকলয়েড, গ্রায়েম মুঞ্জি দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন। আর বাংলাদেশের সঙ্গে মুখোমুখি একমাত্র যে ম্যাচে স্কটল্যান্ড জিতেছিল, সেই টি-টোয়েন্টিতে বেরিংটন করেছিলেন সেঞ্চুরি। এই দলে ক্রিস গ্রিভসের মতো একজন রিস্ট স্পিনারও আছেন, যিনিও হুমকি হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের জন্য। এখন পর্যন্ত পেশাদার ক্যারিয়ারে সেরকম কিছু করতে না পারলেও প্রস্তুতি ম্যাচে এর মধ্যেই জানান দিয়েছেন, রহস্য হয়ে উঠতে পারেন বড় মঞ্চে। আর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রিস্ট স্পিনারদের বিপক্ষে দুর্বলতা তো সবারই জানা।

    আগে কী হয়েছিল?

    দুই দলের একবারই দেখা হয়েছিল টি-টোয়েন্টিতে, সেটা সেই ২০১২ সালে। সেবার বেরিংটন করেছিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি, বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হেরেছিল ম্যাচটা। সেই ম্যাচের সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ আছেন এবারও। আর স্কটল্যান্ডের বেরিংটন ছাড়াও আছেন কোয়েটজার, ম্যাকলয়েড, ডেভিরা।

    রঙ্গমঞ্চ

    ওমানের আল আমিরাত মাঠে অবে ম্যাচ। এই মাঠে এই বছরেই দিসুইহ্র বেশি রান উঠেছে। সেটা আবার করেছে কুয়েত। আইসিসির টুর্নামেন্ট হিসেবে এই ম্যাচেও ব্যাটিং উইকেট থাকার কথা। যদিও ম্যাচের আগের দিন উইকেটে সবুজের আচ্ছাদন দেখা গেছে। সেই হিসেবে পেসাররা হয়তো খানিকটা সাহায্য পেলেও পেতে পারেন।

    যাদের ওপর চোখ

    মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ

    মাত্রই আইপিএল খেলে এসেছেন, মোস্তাফিজুর রহমান রাজস্থানের হয়ে মনে রাখার মতো কিছু মুহূর্তও পেয়েছেন। আমিরাতের কন্ডিশনে তার অভিজ্ঞতা কাজে দিতে পারে অনেক।

    রিচি বেরিংটন

    বাংলাদেশের সাথে আগে সেঞ্চুরি আছে বলেই শুধু নয়, রিচি বেরিংটনের ফর্মও ভালো। এই আমিরাতের মাঠেই কিছুদিন আগে ওমানের বিপক্ষে ৯৭ রানের একটা ইনিংস আছে তার, সর্বশেষ তিন ম্যাচে করেছেন ১২৫ এর ওপর রান।