আবেগাপ্লুত মাহমুদউল্লাহ’র অনুরোধ, তাদের যেন ছোট না করা হয়
স্কটল্যান্ডের ম্যাচে হারের পর শঙ্কার মেঘ জমেছিল বাংলাদেশের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়াকে ঘিরে। বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচনার তীর বিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ দলকে, যেখানে কোচ বলতে বাধ্য হয়েছিলেন- চাপে আছে বাংলাদেশ দল। তবে সব শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে, ওমানের পর পাপুয়া নিউ গিনি বাধা পার করে সুপার টুয়েলভের টিকেট টাইগারদের হাতে। কিন্তু দুঃসময় যারা ‘কথা শুনিয়েছেন’, তাদের সহজেই ভুলে যাচ্ছেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অভিমানের সুরে বেরিয়ে এলো কিছুটা ক্ষোভও।
পিএনজি’র বিপক্ষে খেলেছেন পারফেক্ট ক্যাপ্টেন’স নক। দলও উঠে গেছে পরের রাউন্ডে। থাকতে পারতেন ফুরফুরে মেজাজে, কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে আঁচ পাওয়া গেল তাঁর আবেগের ঝাঁঝ।
‘আমরাও মানুষ, স্পর্শ সবই করে। আমাদেরও পরিবার আছে, আমাদের বাবা-মা, বাচ্চারাও বসে থাকেন টিভি পর্দার সামনে, তারাও মন খারাপ করে (সমালোচনা শুনে)। সোশ্যাল মিডিয়া এখন সবার হাতের নাগালে, সমালোচনা তো হবেই; সেটা আমরা আশাও করি। কেন হবে না! কিন্তু সমালোচনার মাধ্যমে যদি কেউ কাউকে ছোট করে ফেলে তবে সেটা খারাপ লাগে।’
বাংলাদেশ দলকে নিয়ে সমালোচনা যতটা না মাঠে, তার চেয়ে বেশি মাঠের বাইরে। পিএনজি ম্যাচের আগে বাধ্যতামূলক প্রেস কনফারেন্সে আসার ‘সময়’ নিয়ে ম্যাচের আগের দিনই হয়েছিল ‘মনোমালিন্য’। অপেশাদারিত্বের অভিযোগ তুলে প্রেস কনফারেন্স বয়কট করেছিলেন বাংলাদেশের মিডিয়া সাংবাদিকরা। আর প্রথম ম্যাচের পর তো অভিযোগ-সমালোচনার তীর সবটাই এসেছিল তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত বোর্ড সভাপতি থেকে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এলো সেসব প্রসঙ্গও, ‘আমাদের স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে, বিশেষ করে তিন সিনিয়রকে নিয়ে। আমরা তো চেষ্টা করেছি, চেষ্টার বাইরে তো আমাদের কাছে কিছু নেই। এরকম না যে আমরা চেষ্টা করিনি, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। হয়তোবা রেজাল্ট পক্ষে আসেনি।’
‘সমালোচনা অবশ্যই আমাদের কাম্য, তবে সেটা একটু গঠনমূলক হলেই সবার জন্য ভালো। আমরাও ফিল করি, বাংলাদেশের জার্সি যখন আমরা গায়ে দেই তখন আমাদের ফিল হয়। সবারই ত্যাগ আছে। কারো ব্যথা আছে, ইনজুরি আছে; সেগুলো নিয়েই আমরা খেলি। দিনের পর দিন পেইন কিলার খেয়ে আমরা খেলি। বাইরের কেউই এসব জানে না। কখনো এসব নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করা ঠিক না।’
তবে স্বীকার করেছেন দল এখন ভারমুক্ত, লক্ষ্য এখন সুপার টুয়েলভে ভালোভাবে শুরু করা, ‘এখন ইনশাল্লাহ আমরা কিছুটা সেটেল হবো। দলের ভেতরে উদগ্রীবতা ছিল, সেটা পজিটিভ ছিল। আজকের জয়ে দলের প্রত্যেকটা সদস্যকে ক্রেডিট দেওয়া উচিত’, জানান মাহমুদুল্লাহ।
স্কটল্যান্ড-ওমানের ম্যাচের ফলাফলের ভিত্তিতে জানা যাবে কে হচ্ছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার টুয়েলভে গেলে বাংলাদেশ চলে যাবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে গ্রুপ ২ তে, আর রানার আপ হলে খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইনডিজের সঙ্গে গ্রুপ ১ এ।