• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১
  • " />

     

    নেট সেশন: ভারত-পাকিস্তান এবং 'মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাই না'

    নেট সেশন: ভারত-পাকিস্তান এবং 'মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাই না'    

    ভারত-পাকিস্তান

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সুপার ১২

    দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

    ২৪ অক্টোবর,  বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা


    মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

    প্রতিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে মোটামুটি অলক্ষ্যে বেজে উঠে এই সুর। ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ঝাঁঝ ছড়ানো উত্তাপ (শুধু অ্যাশেজই যেটিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে)এখন বলতে গেলে আইসিসির ওপর নির্ভর করে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। সেটা যে নিকট ভবিষ্যতে হবে তেমম সম্ভাবনাও নেই। ফলে ভরসা এখন কেবল আইসিসির টুর্নামেন্ট, যেখানে দুই দলের দেখা হচ্ছে নিয়মিতই।

    দুই দেশের দ্বৈরথে ক্রিকেটের সাথে রাজনীতি যখন মিশে একাকার, প্রতি লড়াইয়ের আগেই উত্তাপ ছড়াবেই। এবারও যেমন কাশ্মিরের সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে ছড়িয়েছে সেই ঝাঁঝ। পাঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রীসহ আরও বেশ কিছু রাজনীতিক বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ হওয়া উচিত না। দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা এখন নতুন মোড় পাচ্ছে, ক্রিকেটও সেখানে গুরুত্বপূর্ণ একটা নিয়ামক।

    তবে আপাতত আজকের ম্যাচটা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইমরান খান ফোন করে এর মধ্যে আগাম শুভকামনা জানিয়েছেন বাবর আজমদের। নরেন্দ্র মোদীর তরদ থেকে সেরকম কিছু এসেছে কি না, সেটা অবশ্য জানাননি বিরাট কোহলি।

    তবে আগের মতোই এবারও ভারত ধারে ও ভারে এগিয়ে। ধারে কারণ মাত্রই আইপিএল খেলে আমিরাতের উইকেটে নিজের অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছে কোহলিরা। ভারতের দলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাদ দিলে সম্ভবত এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ উইনার আছে। কোহলি, রোহিত, বুমরা, জাদেজা, পান্ডিয়াদের যে কেউ নিজেদের দিনে ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন। লোকেশ রাহুল আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। প্রস্তুতি ম্যাচে দুই জয়ে ভারত জানান দিয়েছে, তারা কাপ নিতে এসেছে। সেটা নিজেদের জন্য তো বটেই, অধিনায়ক বিরাট কোহলির জন্যও। এটাই যে কোহলির অধিনায়কত্বে ভারতের শেষ টি-টোয়েন্টি ভারে কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান।

    পাকিস্তানের প্রস্তুতিও শেষ দিকে এসে একটু বিঘ্ন হয়েছে। নিজেদের মাঠে আসি আসি করেও আসেনি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানও অবশ্য পিএসএলের সুবাদে আমিরাতের মাঠে খেলেছে নিয়মিত, আর কন্ডিশনের সুবিধা ঐতিহ্যগতভাবে এখানে তারা ভালোই নিতে পারে। বাবর আজমদের দলটা বেশ থিতু ও ভারসাম্যপূর্ণও বটে। অনেকেই তাদের দেখছেন এই টুর্নামেন্টের ডার্ক হর্স হিসেবে।

    আগে কী হয়েছিল?

    সেই ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালে মিসবাহর নাটক থেকে শুরু, এরপর ভারত-পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারিয়েছে প্রতিবারই। টানা পাঁচ জয়ের শেষগুলোতে সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়নি।

    দলের খবর

    ভারত দলে প্রশ্ন আছে কয়েকটি জায়গা নিয়ে। প্রথম চারজনে রাহুল, রোহিত, কোহলি- সূর্যকুমারদের জায়গা প্রায় পাকা। ইশান কিশান কীভাবে জায়গা পাবেন, সেটা একটা প্রশ্ন। স্পিনে অশ্বিন না বরুন চক্রবর্তীর কে জায়গা পাবেন, সেটা নিয়ে আছেন অপেক্ষা। আর পেসে ভুবনেশ্বরের খানিকটা অফ ফর্মের কারণে তিমুখী লড়াই চলতে পারে তার, মোহাম্মদ শামি, শার্দুল ঠাকুরের মধ্যে।

    পাকিস্তান দলের একাদশ মোটামুটি ঠিক। ১২ জনের নামও এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। শুধু হায়দার আলী, হাফিজ আর শোয়েব মালিকের মধ্যে কোন দুজন খেলবেন, সেটা নিয়েই আছে অপেক্ষা।

     

    চোখ রাখুন

    দুই দলে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো আছেন অনেকেই। তবে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাহুলকে নিয়ে আলাদা করে ভাবছে পাকিস্তান। আর পাকিস্তানের বাবর আজমের জন্য আলাদা করে হোমওয়ার্ক করতে পারেন বুমরা-শামিরা।