• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১
  • " />

     

    'হতাশ' মাহমুদউল্লাহ শুধু বললেন, আমাদের সমর্থন দিয়ে যান

    'হতাশ' মাহমুদউল্লাহ শুধু বললেন, আমাদের সমর্থন দিয়ে যান    

    অবশেষে সংবাদ সম্মেলনে এলেন মাহমুদউল্লাহ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে অমন হারের পর সিনিয়র কেউ না আসায় তুমুল সমালোচনা হচ্ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আরেকটি হারের পর অধিনায়ক এলেন নিজেই। তবে এবার তাকে আর কোনো অপ্রীতিকর প্রশ্ন শুনতে হয়নি। অধিনায়ক নিজেও আবেগী হননি, বিতর্কিত কোনো কথাও বলেননি। শুধু বলে গেলেন, দর্শকেরা যেন এমন সমর্থন দিয়ে যান তাদের।

    শারজায় আজ প্রায় মিরপুরের স্বাদই পেয়েছে বাংলাদেশ। এমনিতে উইকেট ছিল মন্থর, সেটি মনে করিয়ে দিচ্ছিল মিরপুরের কথা। তবে শারজার মাঠে যে সমর্থন পেয়েছে, সেটা হোম অ্যাডভান্তেজের মতোই। অসংখ্য দর্শক লাল-সবুজ বুকে নিয়ে ছিলেন গ্যালারিতে। বাংলাদেশের প্রতিটি রানে তারা উদযাপন করেছেন, মনে হচ্ছিল যেন মিরপুর বা চট্টগ্রামেই খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু জয় পেতে পেতেও তাদের শেষ পর্যন্ত আর পাওয়া হয়নি। সেই সমর্থকেরা তাই একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরে গেছেন বাসায়। প্রবাসী এই বাংলাদেশীদের জন্য ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ তাই ব্যথিত গলায় বললেন, ‘আমরা হতাশ,  সাথে ভক্তদেরও আমরা হতাশ করেছি। আমাদের এসে তাঁরা সমর্থন করছেন। আমি বলব আমাদের সমর্থন জানিয়ে যান,  আমরা জয় এনে দেব।’

    এমন একটা ম্যাচের পর আসলে টার্নিং পয়েন্টের অভাব থাকে না। তবে আর সবকিছু একপাশে থাকলেও ক্যাচ মিস প্রায় অমার্জনীয় অপরাধই। আজও সহজ তিনটি ক্যাচ আর একটি স্টাম্পিং ছেড়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রস্টন চেজের দুইটির জন্য বেশি মূল্য দিতে না হলেও জেসন হোল্ডার আর নিকোলাস পুরানের দুইটির জন্য বড় মূল্য দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। মাহমুদউল্লাহ নিজেও স্বীকার করেছেন, ১০-১৫ রান বেশি হয়ে গেছে। তবে এই ম্যাচ মিসকে টেকনিক্যাল সমস্যা হিসেবে মানতে রাজি নন মাহমুদউল্লাহ, ‘না, টেকনিক্যাল ব্যাপার না। ক্যাচ তো কেউ ইচ্ছে করে মিস করে না। তবে যেভাবে আমাদের টানা ক্যাচ মিস হচ্ছে, সেটা অবশ্যই একটা চিন্তার জায়গা। এই ব্যাপারে আমাদের আসলে আরও অনেক উন্নতি করতে হবে।’

    মাহমুদউল্লাহ বরং লিটনের আউটকেই মনে করছেন টার্নিং পয়েন্ট। ব্রাভোর বলটা ছয় মারতে গিয়েছিলেন লিটন, সেটা হলে বাংলাদেশের শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়াত ৭। তার চেয়েও বড় কথা, থাকতেন দুই সেট ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘শেষের দিকে ব্যাটিং ঠিকঠাক মতই করছিলাম। ব্রাভোর বলে ছয়টা হয়ে গেলেই হয়ে যেত, ওটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল। দুজন সেট ব্যাটার যদি শেষ ওভারে থাকতাম তবে কিছু একটা হতো। হোল্ডারের মত লম্বা ফিল্ডার (৬’৫’’) থাকাটাই ছিল ক্রুশাল পয়েন্ট। আমি কিংবা লিটন শেষ ওভারে থাকলে অন্যরকম হত।

    তারপরও শেষ ওভারে গিয়েও সুযোগ ছিল। এমনকি শেষ বলে যখন চার দরকার, মাহমুদউল্লাহ জানতেন রাসেল ওয়াইড ইয়র্কারের চেষ্টা করবেন। সেটাকেই তিনি রুম বের করে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। তবে পারেননি। সেজন্য নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন।

    তবে বাংলাদেশ দলে যে হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে, সেই ব্যর্থতার দায়টা কি ঘুঁচে যাবে এতে?