• বুন্দেসলিগা
  • " />

     

    ডার ক্লাসিকা জেতা বায়ার্নের ‘দশে দশ’

    ডার ক্লাসিকা জেতা বায়ার্নের ‘দশে দশ’    

    বায়ার্ন মিউনিখ ৩:১ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড 


    সাম্প্রতিক সময়ে বুন্দেসলিগা কতটা একপেশে হয়ে গেছে, এ ম্যাচই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। তিন ম্যাচ হাতে রেখে বায়ার্ন মিউনিখের শিরোপা নিশ্চিত করাকে আটকাতে পারত তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু শিরোপা লড়াইয়ের মতো ক্লাসিকাতেও সহজেই আত্মসমর্পণ করে ডর্টমুন্ড। ৩-১ গোলে কেবল ‘ডার ক্লাসিকা’য় টানা অষ্টম জয়ই নিশ্চিত করেনি বায়ার্ন, নিশ্চিত করেছে লিগ শিরোপাও। এ নিয়ে বিগত ১০ মৌসুমের ১০টিতেই শিরোপা জিতল মিউনিখের এই ক্লাব। 

    আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় উৎসবের আমেজ নিয়েই ম্যাচ শুরু করে বায়ার্ন। ১৫ মিনিটে এক কর্নার থেকে ম্যাচের প্রথম গোল পায় স্বাগতিকরা। কিমিখের নেওয়া কর্নারে হেড করে বক্সের সামনে ফাঁকা দাঁড়িয়ে থাকা গ্যানাব্রিকে বল পাঠান গোয়ের্জকা। বলটি শূন্যে রিসিভ করে সাথে সাথেই ভলি করেন গ্যানাব্রি। তার ভলি গিয়ে জায়গা করে নেয় ডর্টমুন্ডের জালে। 

    ২৯ মিনিটে আবার গোল করেন গ্যানাব্রি। কিন্তু এই গোলের বিল্ড-আপে কোমান অফসাইডে থাকায় পরবর্তীতে ভিএআর বাতিল করে গোলটি। 

    তবে দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি চ্যাম্পিয়নদের। ৩৪ মিনিটে রক্ষণের ভুলে বিপজ্জনক স্থানে বল হারায় ডর্টমুন্ড। সেই সুযোগ বল পান টমাস মুলার। তার বক্সে বাড়ানো পাস এক টাচে জালে জড়ান রবার্ট লেভানডফস্কি। ২০১৪ সালে ডর্টমুন্ড ছাড়ার পর গত আট বছরে নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে ২৬ ম্যাচ খেলে এ নিয়ে ২৭ গোল করলেন এই পোলিশ। 

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি থেকে ডর্টমুন্ড একটি গোল ফেরত দিলেও লেভার এই গোলই শেষপর্যন্ত জয়সূচক গোল হিসেবে থেকে যায়। ৮৩ মিনিটে বদলি নামা জামাল মুসিয়ালা গোল করে স্বাগতিক দর্শকদের সকল টেনশন থেকে মুক্ত করেন। 

    এর আগে দ্বিতীয়ার্ধে ডর্টমুন্ড বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করলেও তা থেকে সমতাসূচক গোলটি বের করতে পারেনি। আর্লিং হাল্যান্ডের নেওয়া প্রায় সব শটই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এদিন। 

    এই জয়ের মাধ্যমে টানা ১০ম বুন্দেসলিগা শিরোপা নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে টানা ১০ বার শিরোপা জেতার নজির আর নেই।