গ্রুপ বি প্রিভিউ: ইংল্যান্ড আর ওয়েলসের চমক?
ইংল্যান্ড, ওয়েলস, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে নিয়ে গ্রুপ বি। কেমন করবে এই গ্রুপ?
ইংল্যান্ড
ইউরোতে ইটস কামিং হোম হতে হতেও হয়নি। সেই ১৯৬৬ সাল থেকে বড় শিরোপার জন্য আক্ষেপটাও আর দূর হয়নি ইংল্যান্ডের। থ্রি লায়ন্সরা এবারও কাগজে কলমে শক্তিশালী। ২০১৮ বিশ্বকাপে সেমি পর্যন্ত গিয়েছিল তারা।
বিশ্বকাপে স্কোয়াড ডেপথের দিক দিয়ে ইংল্যান্ড সবার ওপরের দিকেই থাকবে। দলের প্রায় সবাই খেলেন ইংলিশ লিগে, বেশির ভাগ ইনফর্ম খেলোয়াড়েরাই ডাক পেয়েছেন এবার। গত বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটজয়ী অধিনায়ক হ্যারি কেইন এবারও বড় ভরসা। রক্ষণে হ্যারি ম্যাগুয়ের, জন স্টোনসের ওপরেই হয়তো আস্থা রাখবেন সাউথগেট। মধ্যমাঠে অভিষেক হতে পারে জুড বেলিংহামের।
শক্তি
প্রায় সব বিভাগেই আছে বিশ্বমানের খেলোয়াড়। আক্রমণে বুকায়ো সাকা ও ফিল ফোডেনকে সাউথগেট কীভাবে ব্যবহার কএন, সেটার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। সেট পিসে গোপন অস্ত্র হতে পারেন ফুলব্যাক কাইরন ট্রিপিয়ের।
দুর্বলতা
ম্যাগুয়ের প্রথম একাদশে খেললেও তার সাম্প্রতিক ক্লাব ফর্ম নিয়ে আছে সংশয়। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে রাইস-বেলিংহামের জুটি কেমন করবে সেটাও দেখার বিষয়।
ওয়েলস
২০১৬ ইউরোতে সবাইকে চমকে দিয়ে সেমিতে খেলেছিল ওয়েলস। এরপর খেলেছে ২০২০ ইউরোও। বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা অবশ্য অ নেক দিন পর হচ্ছে তাদের, সেই ১৯৫৮ সালের পর তো আর খেলাই হয়নি। এবার বিশ্বকাপে আসার পথে অস্ট্রিয়া ও ইউক্রেনকে হারিয়ে এসেছে নাটকীয়ভাবে। গ্যারেথ বেল আর অ্যারন রামসে এই দলের অন্যতম দুই তারা, তাদের ওপর অনেকটা নির্ভর করবে দল।
শক্তি
ওয়েলসের গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড আছেন দারুণ ফর্মে, লেস্টারের হয়ে সর্বশেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে রেখেছেন ক্লিন শিট। আক্রমণভাবে কিফার মুরও বোর্নমাউথের হয়ে ভালো ফর্মে আছেন, আরেক স্ট্রাইকার ব্রেনান জনসনও আছেন ছন্দে। ড্যান জেমস বিশ্বকাপের ঠিক আগের ম্যাচেই গোল পেয়েছেন ক্লাবের হয়ে। আম্পাডু, রডন, ডেভিসদের রক্ষণও ভরসা করার মতো।
দুর্বলতা
বেল, রামসে মূল খেলোয়াড় হলেও দুজনই পেছনে ফেলে এসেছেন সেরা সময়। মধ্যমাঠে জো অ্যালেনও কতটা ফর্মে আছেন , তা নিয়ে আছে প্রশ্ন।
যুক্তরাষ্ট্র
কনকাকাফ অঞ্চল থেকে তারা নিয়মিত মুখ। গত বিশ্বকাপে অবশ্য খেলা হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। এবারের দলটাএ নতুন করেই ঢেলে সাজিয়েছেন কোচ গ্রেগ বারহাল্টার। দলে আছেন তরুণদের অনেকে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব ভরসার অয়। সৌদি আরবের সাথে ড্র করার আগে হেরে গিয়েছিল জাপানের কাছে। তবে বারহাল্টার আশা করবেন, এর মধ্যে তিনি তার পছন্দের একাদশ পেয়ে গেছেন।
শক্তি
শীর্ষ পর্যায়ে খেলা একাধিক ফুটবলার আছেন দলে। চেলসির ক্রিশ্চিয়ান পুলিসককে বলা হয় ক্যাপ্টেন আমেরিকা। মধ্যমাঠে লিডসের টাইলার অ্যডামস, ব্রেন্ডান অ্যারসন ও জুভেন্টাস ওয়েস্টিন ম্যাকেনার আছে বড় পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা। রক্ষণে দুই ফুলব্যাক সার্জিনহো দেস্ত ও রবিনসনও খেলেন ইতালি ও ইংল্যান্ডে।
দুর্বলতা
নাম্বার নাইন হিসেবে ফেরেইরাকে খেলালেও তার ফর্ম নিয়ে আছে প্রশ্ন। চোটের জন্য মূল একাদশটা এখনো গোছাতে পারেননি, এটাও একটা চিন্তার কারণ হতে পারে তাদের জন্য।
ইরান
এশিয়ার নিয়মিত মুখ ইরান এবারও শুরুর দিকেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে। আলি দাইয়িদের দেশ বিশ্বকাপে কখনোই বড় কিছু করতে পারেনি। বিশ্বকাপের আগে ফিরিয়ে এনেছে পুরনো কোচ কার্লোস কুইরোজকে, তিনি ভরসা রেখেছেন পরীক্ষিতদের ওপর। রক্ষণটা বেশ মজবুত তাদের, আর কাউন্টার অ্যাটাকভিত্তিক খেলাটা হতাশ করতে পারে প্রতিপক্ষকে।
শক্তি
ফরোয়ার্ড লাইনে পোর্তোর হয়ে ইনফর্ম স্ট্রাইকার মাহদি তারেমির ওপর আস্থা রাখবেন ইরান কোচ। তিনি হতে পারেন বিশ্বকাপের অন্যতম চমক।
দুর্বলতা
ইরানের খেলার ধরনের কারণে তাদের গোল করার সামর্থ্য নিয়ে আছে প্রশ্ন। আর স্ট্রাইকার হিসেবে সর্দার আজমুনের চোট তাদের চিন্তার কারণ। আজমুন খেলতে না পারলে নাম্বার নাইন হবেন তারেমি।
গ্রুপ প্রেডিকশন
ইংল্যান্ড গ্রুপ শীর্ষে, তবে ওয়েলস চমকে দেবে সবাইকে। যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয়, ইরান চতুর্থ