• বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর, ২০২৪
  • " />

     

    শামীম-ক্যামিও ও বোলারদের জাদুতে সেন্ট ভিনসেন্টে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ

    শামীম-ক্যামিও ও বোলারদের জাদুতে সেন্ট ভিনসেন্টে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ    

    বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১২৯/৭ (শামীম ৩৫*, মোতি ২/২৫)

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮.৩ ওভারে ১০২ (চেজ ৩২; তাসকিন ৩/১৬, রিশাদ ২/১২, তানজিম ২/২২)

    বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী


    ঘুম ঘুম চোখে টিভি স্ক্রিনের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে হতাশ হয়েছিলেন নিশ্চিতভাবেই। আরেকবার ব্যাটিং ধস বাংলাদেশের, আরেকটি পরাজয় কি চোখ রাঙাচ্ছে? না, সেটা হয়নি। প্রথম ম্যাচের পর সেন্ট ভিনসেন্টে আবারও বাংলাদেশের ত্রাতা বোলাররা। আর তাতেই ২৭ রানের জয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এখন উলটো ধবলধোলাইয়ের শংকা। 

    ১২৯ রানের পুঁজি নিয়ে ২৭ রানের জয়ে বোলারদেরই যে অবদান বেশি, সেটা বোঝার জন্য ম্যাচ বা স্কোরকার্ডও দেখতে হয় না। তবে আসলে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন একজন ব্যাটারই। ৭২ রানে ৬ বা ৮৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর একটা দলের জন্য ১২৯ যাওয়াটাই তো অনেক কঠিন। সেই কঠিন কাজটা হয়েছে শামীমের জন্যই। ক্রিজে নামার পর জাকের আলীকে পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও আউট হয়ে যান তাড়াতাড়ি। এরপর ওভারে ওবেদ ম্যাকয়কে ছয় মেরে শুরুরু শামীমের। ১৯তম ওভারে আবারও ছয় শামীমের। সেই ম্যাকয়কেই এবার সীমানাছাড়া করলেন। শেষ ওভারে আরও দুইটি চার, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ১৭ বলে ৩৫ রান করে। দেখিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি সেট আপে বাংলাদেশের জন্য কতটা মূল্যবান তিনি। 

    এই ম্যাচে কতটা মূল্যবান সেটা স্কোরকার্ডই বলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে চারটি ছয়ের দুইটিই মেরেছেন তিনি। ব্যাট করেছেন দুইশর বেশি স্ট্রাইক রেটে। অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলীরা মাঝের ওভারে কিছু রান করায় শেষ দিকে শামীমের ঝড় কাজে এসেছে। চারে আজ স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে সুযোগ পেয়ে মিরাজ খেলেছেন ২৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস। জাকের আলীর ২১ রানের ইনিংসও সাহায্য করে। কিন্তু তা বাদে বাকিওরা হতাশ করেছেন। লিটন ব্যর্থ আরও একবার, সৌম্য হয়েছেন রান আউট, তানজিদ তামিমও পারেননি কাজে লাগাতে সুযোগ। 

    তবে সেজন্য আফসোস করতে হয়নি। শুরুতে ১৯ রান তুলে ফেলার পর তাসকিন বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন প্রথম ব্রেক থ্রু। তার এক ওভারে আউট হয়ে গেছেন কিং ও ফ্লেচার। জনসন চার্লস বিপজ্জনক ছিলেন, তাকে ফিরিয়েছেন মাহেদী। তবে ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আউট করেছেন সম্ভবত মাহেদী পুরানকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে। রভম্যান পাওয়েল স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন, তবে ৬ রান করে আউট হাসান মাহমুদের বলে। এরপর শেফার্ডও টেকেননি। 

    রস্টন  চেজ ও আকিল হোসেইন ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রিশাদ এসে ফেরান চেজকে, পরের বলে আউট করেন মোতিকে। আকিল একা চেষ্টা করে গেলেও লাভ হয়নি। তাকে তৃতীয় শিকার বানিয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দিয়েছেন তাসকিন।