• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    কেন ফাঁকা থাকছে কাতার বিশ্বকাপে গ্যালারির আসন?

    কেন ফাঁকা থাকছে কাতার বিশ্বকাপে গ্যালারির আসন?    

    নানান দেশ থেকে সমর্থকেরা এসে মিশেছেন কাতারে, গ্যালারিতে জার্সি পরে পতাকা নিয়ে এসেছেন। বিশ্বকাপ বলে কথা! কিন্তু তার মধ্যেও চোখে পড়ছে কিছু আসন ফাঁকা। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস-সেনেগাল ম্যাচে অনেক আসনই খালি ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে এমন থাকার কারণ কী?

     

     

    গার্ডিয়ান এ নিয়ে একটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী মোট টিকিটের একটা অংশ ব্রডকাস্টার, স্পন্সর ও অন্য স্টেকহোল্ডারদের জন্য বরাদ্দ। এই অংশটা নিতান্ত কম নয়। তবে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ এই অংশে যে পরিমাণ টিকেট লাগবে বলে অনুমান করছিল, বাস্তবে সে পরিমাণ টিকেট লাগছে না। সেজন্য স্পন্সরদের জন্য বরাদ্দ আসনগুলোর অনেকগুলো খালি দেখাচ্ছে। এই আসনগুলো আবার সামনের দিকে, দাম হিসেবেও বেশি। এগুলো খালি থাকায় সেটা ক্যামেরায় আরও বেশি করে ধরা পড়ছে। 

    আসন ফাঁকা থাকার আরও কিছু কারণ থাকতে পারে। টুর্নামেন্ট নিয়ম অনুযায়ী কাতারকে সবচেয়ে বেশি টিকিট দেওয়া হয়েছে, ৩ মিলিয়ন। যদিও আসল হিসেবে সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। গার্ডিয়ান যেমন বলেছে, কাতারের কেউ কেউ একাধিক অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকেট করেছেন, যেটির আবার নিয়ম নেই। সেটা ঠিক হলে হয়তো বরাদ্দের চেয়ে বেশি পেয়েছে কাতার। কিন্তু খেলা দেখতে কেউ না আসায় হয়তো কিছু আসন ফাঁকা থাকছে। আবার কাতারে হোটেল, খাবারের চড়া দামের কারণে অন্য দেশের সমর্থকদের কেউ কেউ টিকেট পেয়েও নাও আসতে পারেন। খালি থাকতে পারে তাদের আসনও।

    তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাতার একটা পদক্ষেপ নিয়েছে। স্পন্সর ও ব্রডকাস্টারদের জন্য বরাদ্দ টিকেট নাম্বারটা আবার সমন্বয় করেছে। সেজন্য স্টেডিয়ামের মোট ধারণক্ষমতা বেড়ে গেছে। যেমন মেসিদের কালকের খেলার মাঠ লুসাইলের অফিসিয়াল ধারণক্ষমতা আগে ছিল ৮০ হাজার। নতুন হিসেবে সেটা এখন ৮৮ হাজার। সব স্টেডিয়াম মিলে ৩ লাখ ৮০ হাজার ছিল আগের ধারণক্ষমতা। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার।