কানাডা-আতঙ্ক ছাপিয়ে স্বস্তির জয়ে বেলজিয়ামের বিশ্বকাপ শুরু
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ২য় দল বেলজিয়াম। প্রথম ম্যাচে সেখানে যখন তাদের প্রতিপক্ষ ৩৬ বছর বিশ্বকাপ খেলতে আসা কানাডা সেখানে স্পেনের মত না হলেও বেলজিয়ামের অনায়াস জয়ের পক্ষেই হয়ত বাজি ছিল বেশিরভাগের। সেই বেলজিয়ামকেই হতভম্ব করে, গতি দিয়ে বেলজিয়ামের নাভিশ্বাস ছুটিয়ে ছেড়েছিল কানাডা। তবে বেলজিয়ামের অভিজ্ঞতা, আর গোলমুখে কানাডার ধারের অভাবে বেলজিয়াম মাঠ ছেড়েছে মিচি বাতশুয়াইর গোলে। তবে নিজেদের দোষের পাশাপাশি কানাডা রেফারির দিকেও আঙুল তুললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ম্যাচের মাত্র নয় মিনিটেই ডি বক্সে ইয়ানিক কারাস্কোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পেয়ে যায় কানাডা। পেনাল্টি নিতে আসেন তাদের সবচেয়ে বড় তারকা আলফন্সো ডেভিস। তবে বিশ্ব মঞ্চের তীব্র চাপ আর গোলবারের নিচে তাকে ভড়কে দেওয়ায় থিবো কোর্তোয়ার ক্রমাগত প্রচেস্টা যেন কাজে লেগে গেল। বাঁ প্রান্তে দুর্বল এক পেনাল্টি নিলে ঝাপিয়ে পড়ে সেটা ঠেকিয়ে দিয়ে নায়ক বনে যান গত বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী কোর্তোয়া।
তবে তার পরেই বিচলিত না হয়ে একের পর এক আক্রমণ করে যায় কানাডা। বেলজিয়ামের ধীরগতির ডিফেন্ডার আর মাঠ বড় করে খেলা উইঙ্গারদের মাঝে ফাঁকা জায়গা বানিয়ে কানাডা তুলেছিল অনেক প্রশ্ন। গোলমুখে মুহুর্মুহু আক্রমণের পরেও ফিনিশিংটা যেন হয়েই উঠছিল না তাদের। উইং দিয়ে আক্রমণ করলেও ফাইনাল থার্ডে যেন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছিল প্রতিটি আক্রমণ।
৪০ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে লারিয়াকে ফেলে দেওয়া সেটা নিয়ে তীব্র আবেদন জানিয়েও পেনাল্টি না পাওয়ার আক্ষেপে ভোগে কানাডা। স্রোতের বিপরীতে গিয়ে উলটো আর চার মিনিটের মাঝে টোবি অ্যাল্ডারওয়াইরাল্ডের বাড়ানো দারুণ এক লম্বা বল নামিয়ে নিয়ে এসে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান ‘ব্যাটম্যান’ বাতশুয়াই, যেটা বেলজিয়ামের হয়ে ছিল তার ২৭তম গোল।
প্রথমার্ধ ওই এক গোলে এগিয়ে মাঠ ছাড়লেও কানাডা পরের অর্ধেই খাবি খেতে থাকে। তবে কানাডা মূল সমস্যার আর সমাধান হয়নি। কাইল লারিন নামার পর বক্সে বাড়ানো বেশ কিছু ক্রসে মাথা লাগিয়েছিলেন। তবে কোর্তোয়া আর দুর্বল ফিনিশে আসেনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। গোলমুখে ২২টি শট নিয়েও নিশানায় ছিল কানাডার মোটে ৪টি শট। বেলজিয়াম তাই যেন হাঁফ ছেড়েই বেঁচেছে শেষমেশ। অবশ্য এই জয়ে ১৯৯৪ সালে সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পর বিশ্বকাপে টানা ১২টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অপরাজিত থাকল বেলজিয়ানরা। আর টানা ৮ম গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা, যেই কীর্তি আগে দুইবার গড়েছে ব্রাজিল। পরের ম্যাচে নিজেদের চেনা রুপে ফেরার পাশাপাশি হয়ত রেকর্ডটার দিকেও নজর থাকবে বেলজিয়ামের।