ক্যামেরুনের ছেলের গোলেই ক্যামেরুনকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড ১:০ ক্যামেরুন
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির সাথে এক গ্রুপে পড়েও বিশ্বকাপে টানা পঞ্চম বারের মত খেলতে এসেছে সুইজারল্যান্ড। ইতালিকে খাদের দিকে ঠেলে দিয়ে অপরাজিত বাছাইপর্ব কাটিয়ে আসা সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া ক্যামেরুনের জন্য কোনও ফলাফল বের করতে পারাটাই হয়ত হত বড় কিছু। তবে এবারের বিশ্বকাপের চতুর্থ নিম্ন র্যাঙ্কিংয়ের দলটি শেষমেশ সেটাও করতে পারেনি। ব্রিল এমবোলোর একমাত্র গোলে জয় নিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করেছে সুইসরা।
সুইসদের বিপক্ষে রিগোবার্ট সংয়ের দল শুরুটা করেছিল বেশ ভাল। ১০ মিনিটের মাথায় বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ঢুকে গিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন এমবুয়েমো। ইয়ান সমের সেই শট প্রতিহত করলেও ফিরতি শট বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন টোকো-একাম্বি। ৩০ মিনিটের মাথায় আবারও আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ওই এমবুয়েমো; চুপো-মোটিংয়ের সাথে বল দেওয়া নেওয়ার পর তিনি হংলার দিকে বল বাড়ালে আবারও বাঁধা হয়ে দাঁড়ান সমের। প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরি করেও তাই গোলের দেখা পায়নি ক্যামেরুন।
দ্বিতীয়ার্ধটা তাই তাদের ভড়কে দেবার জন্য শুরু থেকেই কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে সুইজারল্যান্ড। ৪৮ মিনিটের মাথায় সেটার সুফল পেয়ে যান সুইসরা। তৃতীয় সুইস হিসেবে দশম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নামা জেরদান শাকিরি ডান প্রান্ত থেকে দারুণ এক ক্রসে বক্সে থাকা ব্রিল এমবোলোকে খুঁজে নিলে সেখান থেকে জোরালো ফিনিশে সুইসদের গোলের খাতা খোলেন তিনি। ক্যামেরুন ছিল এমবোলোর জন্মস্থান। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল পেয়েও তাই গোল উদযাপন না করে অন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এমবোলো।
গোলের পর সুইসরা ম্যাচেও নিজেদের আধিপত্যটা যেন বুঝে নেয়। ক্যামেরুনের ছন্নছাড়া আক্রমণ সামলে বলের দখলটাও থাকে তাদের পায়েই। ৬৭ মিনিটের মাথায় প্রায় একইভাবে বক্সে থাকা ভারগাসকে খুঁজে নিয়েছিলেন শাকিরি। তবে সেবার আন্দ্রে ওনানা দারুণ এক সেভে সুইসদের দমিয়ে রাখেন। ম্যাচের ৮৯ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া গ্রানিত শাকার জোরালো শটও ওনানা ঠেকিয়ে দিলেও ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি ক্যামেরুন। বিশ্বকাপে প্রথমে গোল খাওয়ার পর টানা ৪ ম্যাচ জিততে না পারা ক্যামেরুনকে তাই পরাজয় বরণ করতে হয়েছে এই ম্যাচেও। আর দারুণ এক বাছাইপর্বে ইতালির বিদায়ের প্রথম ধাক্কা দেওয়া সুইজারল্যান্ড জয় দিয়ে শুরু করে বার্তা দিয়ে রাখল মূল মঞ্চেও অঘটনের জন্ম দেওয়ার।