• আইপিএল ২০১৬
  • " />

     

    সাকিবের হরিষে বিষাদ

    সাকিবের হরিষে বিষাদ    

    কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। আইপিএলে আগের তিন ইনিংসে করেছিলেন ১১, ৫ ও ৩। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানখরা কাটিয়ে যখন ব্যাটে সেই পুরনো ঝলক, আইপিএলে আবার সেটি মিলিয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে দেশে এসে গুরু সালাউদ্দিনের কাছ থেকে কিছু টোটকাও নিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে আজ আবার রানে ফিরলেন সাকিব আল হাসান, ৪৯ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে সাকিবের ব্যাট আবারও উজ্জ্বল। তবে বল হাতে রাতটা মনে রাখার মতো হয়নি, ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩৮ রান, পেয়েছেন একটি উইকেট। তাঁর দল কলকাতা নাইট রাইডার্সও গুজরাট লায়নের কাছে হেরে গেছে ৫ উইকেট। 

    ক্রিজে যখন নেমেছিলেন, কেকেআর তখন ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে। একটু পরেই চলে গেল আরেকটি উইকেট, সাকিবের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন ইউসুফ পাঠান। শুরুতে সাকিব নিজেকে খোলসের মধ্যেই ঢুকিয়ে রেখেছিলেন, প্রথম ২০ রান করতেই খেলতে হয়েছে ২৬ বল। কিন্তু এর পর একটু একটু করে হাত খুলতে শুরু করেছেন। ১৬তম ওভারে ডোয়াইন ব্রাভোকে ওভারে ওপর দিয়ে উড়িয়ে পেয়েছেন প্রথম ছক্কা। ১৮ তম ওভারে আবারও সাকিবের তোপের মুখে ব্রাভো, এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডারের প্রথম দুইটি বলই সীমানার বাইরে পাঠালেন সাকিব। পরের ওভারেই দুইটি চার মেরে পেয়ে গেলেন আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। 

    তবে আইপিএলে নিজের সর্বোচ্চ ৬০ রানের স্কোর ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য মাত্র এক ওভার ছিল। সেটাই সাকিব কাজে লাগালেন দুর্দান্তভাবে, ২০ তম ওভারে আবারও সেই ব্রাভোর বলেই ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৬৬ রান করে কেকেআরের সর্বোচ্চ ইনিংসও তাঁর। 


    সাকিব-পাঠানের কল্যাণে ১৫৮ রান করেছিল কেকেআর। বোলিংইয়ে সাকিবের প্রথম ওভারটাই ভুলে যাওয়ার মতো, দিয়েছেন ১৩ রান। পরের ওভারে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা ডোয়াইন স্মিথকে দারুণ এক বলে বোল্ড করে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় ওভারে অ্যারন ফিঞ্চের তোপে আবার খেই হারিয়ে ফেলেন সাকিব। ব্যাট হাতে ভালো করেও তাই সেটি উদযাপন করতে পারলেন না।