• ২০২৩ এশিয়া কাপ
  • " />

     

    নেপালকে নাকাল করে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাপুটে সূচনা

    নেপালকে নাকাল করে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাপুটে সূচনা    

    এশিয়া কাপ ২০২৩, গ্রুপ পর্ব, মুলতান (টস-পাকিস্তান/ব্যাটিং)
    পাকিস্তান - ৩৪২/৬, ৫০ ওভার (বাবর ১৫১, ইফতিখার ১০৯*, রিজওয়ান ৪৪, কামি ২/৮৫, কারান ১/৫৪, লামিছানে ১/৬৯ )
    নেপাল - ১০৪, ২৩.৪ ওভার (কামি ২৮, আরিফ ২৬, ঝা ১৩, শাদাব ৪/২৭, রউফ ২/১৬, আফ্রিদি ২/২৭)
    ফলাফল: পাকিস্তান ২৩৮ রানে জয়ী


     

    নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করল আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ওয়ানডে দল পাকিস্তান। বাবর আজম ও ইফতিখার আহমেদের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ার পর সম্মিলিত বোলিং পারফরম্যান্সে যেন নেপালকে দুই দলের শক্তির বিস্তর ফারাকের বাস্তবতাটাই বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান।

    ৩৪৩ রানের লক্ষ্যে প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই তিন উইকেট খুইয়ে বসে নেপাল। শাহীন শাহ আফ্রিদির জোড়া আঘাতের সাথে নাসিম শাহ উইকেটের মিছিলে যোগ দেন। সেখান থেকে সোমপাল কামি- আরিফ শেখ জুটি বিপদ সামলানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে হারিস রউফ আক্রমণে এসে অতিরিক্ত গতি নিয়ে যেন নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান। নিজের তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে দুজনকেই তাই ফেরান রউফ। ৮২ রানে নেপাল তাদের পঞ্চম উইকেট হারালেও সেখান থেকে একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়ে তারা। আর একাই চার উইকেট নিয়ে তাতে নেতৃত্ব দেন শাদাব। পাকিস্তান তাই পেয়ে যায় ঘরের মাটিতে ওয়ানডে রানের ব্যবধানে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়।

    টসে জিতে ব্যাট করতে নামলেও শুরুতেই স্বাগতিকদের ভড়কে দেয় নেপাল। ৫ রানে ইমাম-উল-হক জীবন পাওয়ার পরের ওভারেই কারান কেসির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১৪ রানে ফেরেন ফাখার জামান। জীবন পেলেও সেটা কাজে লাগাতে না পেরে পরের ওভারে নেপাল অধিনায়ক পৌডেলের দারুণ সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ওই ৫ রানেই ফেরেন ইমাম। তবে জীবন পেলে তা কীভাবে কাজে লাগাতে হয় সেটাই এরপর হাতেকলমে নেপালকে শেখালেন বাবর।

    মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গী করে ধীরে ধীরে ইনিংস মেরামতের কাজ করতে থাকেন। প্রথম ১০ ওভারে ৪৪ রান তোলার পর দলীয় শতরান পূর্ণ করেন ২২-তম ওভারে। উইকেটে থিতু এই জুটি যখনই ভয়ংকর হয়ে উঠবে বলে মনে হচ্ছিল তখনই আবারও রান আউটের সুবাদে ম্যাচে ফেরে নেপাল। উইকেট সই করে সরাসরি থ্রো করা হলে অনেকটা বলের লাইন থেকে সরতেই লাফ দিতে গিয়ে কাল হয় ৫০ বলে ৪৪ রানে থাকা রিজওয়ানের। উইকেটে এসে সময় নেওয়ার আগেই সন্দ্বীপ লামিছানের নিরীহ এক লেগ ব্রেকে কাট করতে গিয়ে শর্ট থার্ডে দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে ৫ রানে ফেরেন আঘা সালমান। পরের ওভারে ৭৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করে এক বল পরেই বাবর কারানকে সোজা এক ফিরতি ক্যাচ তুলে দিলেও বেঁচে যান। ৫৫ রানে সেই যে সুযোগ পেলেন এরপর আর পেছন ফিরে তাকাননি তিনি।

    উইকেটে নবাগত ইফতিখার আহমেদের সাথে জুটি গড়ে ম্যাচটাই যেন নেপালের মুঠো থেকে বের করে নিয়ে যান তিনি।৪২-তম ওভারে ৪৩ বলে ইফতিখার ফিফটি পূর্ণ করলে তার যোগ্য সঙ্গে পরের বলেই ১০৯ বলে পেয়ে যান ১৯-তম সেঞ্চুরির দেখা। এই সেঞ্চুরি দিয়ে সাঈদ আনোয়ার ও জাভেদ মিয়াঁদাদের সমান ওয়ানডে সেঞ্চুরি তো হয়েছেই, সেই সাথে হাশিম আমলার রেকর্ড ভেঙে ১০২ ম্যাচে ১৯ ওয়ানডে সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।     

    অধিনায়কের দারুণ ব্যাটিংয়ে ইফতিখারও দেখালেন তার ব্যাটিংয়ের তেজ। ১২৯ বলে যেই ওভারে ১৫০ রান পূর্ণ করলেন বাবর, ওই ওভারে একটি করে চার-ছয় মেরে যেন আর এক দফা গিয়ার পাল্টালেন ইফতিখার। তারই পরিক্রমায় পরের ওভারে ১৮ রান নিয়ে মাত্র ৬৭ বলে তিনি পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে কামির শিকার হয়ে অন্য প্রান্তে ১৩১ বলে ১৫১ রানের ইনিংস শেষে বাবর থামলেও ইফতিখারের ৭১ বলে ১০৯* রানে পাকিস্তান পেয়ে যায় বড় সংগ্রহ।