'শিক্ষিত খেলোয়াড়ের অভাবে ভুগছে পাকিস্তান'
নিকট অতীতে পাকিস্তানের ক্রিকেট উৎসব করার মতো উপলক্ষ পেয়েছে কমই। আহমেদ শেহজাদ-উমর আকমলরা বরং খবরের শিরোনাম হয়েছেন ড্রেসিং রুমে অস্থিরতা তৈরি করে। উপর্যুপরি দুটো সীমিত ওভারের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর বড় ধরণের রদবদল এসেছে দল থেকে শুরু করে নির্বাচক প্যানেলেও। পুনর্গঠন শেষে পাকিস্তান ক্রিকেট যখন একরকম নতুন করেই পথচলা শুরু করতে যাচ্ছে, দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান শাহরিয়ার খান বলছেন পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে সাম্প্রতিক দুর্দশার অন্যতম একটি কারণ দলে শিক্ষিত খেলোয়াড়ের অভাব। আর সেজন্য ভবিষ্যতে খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার বিষয়টি তাঁরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।
গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে পিসিবি সভাপতি বলছিলেন তাঁর হতাশার কথা, “মিসবাহ ছাড়া এই মুহূর্তে দলে আর কোনো স্নাতক পাশ খেলোয়াড় নেই। আর দলের সাম্প্রতিক অবনতির প্রাথমিক একটা কারণ হচ্ছে শিক্ষিত খেলোয়াড়ের অভাব।”
এই আক্ষেপের জায়গা থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও সাজাতে শুরু করেছেন শাহরিয়ার খান, “ভবিষ্যতে শিক্ষিত খেলোয়াড়দের দলে টানতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবো। পাশাপাশি তরুণ যেসব প্রতিভা আছে তাদেরকেও দেখভালের উদ্যোগ নেবো।”
শেহজাদ-আকমলদের প্রসঙ্গ টেনে পিসিবি প্রধান বলেন শৃঙ্খলা ও ফিটনেসের প্রশ্নে এখন থেকে আর কোনো প্রকার আপোষ করা হবে না, “সেজন্যই আমরা নতুন করে ফিটনেস পরীক্ষা নিচ্ছি। ইংল্যান্ড সফরের প্রাথমিক ক্যাম্প হচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষকদের অধীনে।”
এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশে হয়ে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পাকিস্তান দলে যোগ্যদের জায়গায় অযোগ্য অনেক খেলোয়াড় ঢুকে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে এসব ব্যাপারেও আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন পিসিবি সভাপতি, “এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ভবিষ্যতে খেলোয়াড় নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও কঠিন করে কেবলমাত্র মেধা আর পারফরম্যান্সকেই মানদণ্ড মানা হবে।”