• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর, ২০২৩
  • " />

     

    শরিফুল, মাহেদী, মোস্তাফিজদের দারুণ বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৩৪

    শরিফুল, মাহেদী, মোস্তাফিজদের দারুণ বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৩৪    

    ১ম টি-টোয়েন্টি, নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
    নিউজিল্যান্ড - ১৩৪/৯, ২০ ওভার (নিশাম ৪৮, স্যান্টনার ২৩, মিলনে ১৬*, শরিফুল ৩/২৬, মাহেদী ২/১৪, মোস্তাফিজ ২/১৫)

     

    নেপিয়ারে বাংলাদেশ যেই শুরুটা পেয়েছিল তার চেয়ে ভালো কিছু হয়ত আর চাওয়ার ছিল না। শুরুর সেই ঝড় সামলে পরে নিউজিল্যান্ড লড়াকু সংগ্রহ পেলেও বোলিং নিয়ে নিজেদের প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশ সন্তুষ্টই থাকবে।

    প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন শেখ মাহেদী। টিম সাইফার্টের স্টাম্প উপড়ে তিনি মাত্র এক রান দিলে পরের ওভারে শরিফুল  তার প্রচেষ্টাকে আরও এক ধাপ ওপরে নিয়ে যান। দারুণ ফর্মে থাকা এই বাঁহাতি পেসারের বেরিয়ে যাওয়া বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে অ্যালেন ফিরলে তার ঠিক পরের বলেই ফেরেন গ্লেন ফিলিপস। ভেতরে ঢোকা বলে ফিলিপস পরাস্ত হলে আম্পায়ার বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউর সাফল্য পায় তারা। উইকেটে এসে নিজের স্বভাবজাত খেলা খেলে মিচেল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও চতুর্থ ওভারে মাহেদীর লাইন ধরে রাখা বলে স্টাম্প খুইয়ে ফেরেন তিনিও। তানজিম সাকিবের করা পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে টানা ছয়-চারে চ্যাপম্যান পরে দলকে নিয়ে যান ৩৬ রানে।

    অবশ্য আক্রমণের ধারা বজায় রাখতে গিয়ে চ্যাপম্যানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ১৪ রান গোণার পর মাহেদীর স্পেল শেষ হলে তার পরের ওভারে রিশাদকে আক্রমণে আনেন শান্ত। লেগ স্পিনারের ওপর চড়াও হতে যেয়েই ডিপ এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে থামেন চ্যাপম্যান। অধিনায়ক স্যান্টনারকে নিয়ে এরপর নিশাম ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সেই অর্থে সাহায্য পাননি তিনি। ৫০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসার পর দুজনে মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলও শরিফুল আক্রমণে ফেরায় জুটি ভাঙে ৪১ রানে। সেটার জন্য অবশ্য মিড উইকেটে নিচু হয়ে আসা ক্যাচ দারুণভাবে লুফে নেওয়াতে সৌম্যের ধন্যবাদটা প্রাপ্য। ২৩ রানে স্যান্টনার তখন ফিরলে গিয়ার পাল্টানোর জন্য খেলতেই হত নিশামকে। সাকিবের চড়াও হয়ে সেটা তিনি করেও চলেছিলেন। তবে মোস্তাফজি আক্রমণে আসতে বাইরের এক ফুল টসে বাউন্ডারিতে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে ২৯ বলে ৪৮ রানে ফেরার আক্ষেপে পোড়েন তিনি। নিউজিল্যান্ডকে পরে লড়াইয়ের রসদ যোগান ১২ বলে ১৬* রান করা মিলনে। সাকিবের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ডিপ পয়েন্টের ওপর দিয়ে যেই ছয় মেরেছেন তা থেকেই আত্মবিশ্বাস পেতে পারে কিউইরা।