জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে বিপ্লবের হাওয়া!
ছোটখাট একটা বিপ্লবই হয়ে গেল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে। বরখাস্ত করা হয়েছে কোচ ডেভ হোয়াটমোর ও অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে। আপাতত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গ্রায়েম ক্রেমারকে, কোচ হয়েছেন মাখায়া এনটিনি। আর দুই বছরের জন্য ব্যাটিং কোচ হয়েছেন ল্যান্স ক্লুসনার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দলের পারফরম্যান্স যাচাই বাছাই করে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ একদমই ভালো কাটেনি জিম্বাবুয়ের। সুপার টেনে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা, এর মধ্যে অধিনায়ক মাসাকাদজা করেছিলেন ২২, ১২ ও ১০। অথচ গত বছর দল থেকে ছিটকে পড়ার পর গত অক্টোবরেই আবার মাসাকাদজা ফিরেছিলেন দলে। এরপর রান পেয়েছেন, অধিনায়কও হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ধরে রাখতে পারেননি। নতুন অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার অগত বেশ কিছু দিন ধরেই বেশ ধারাবাহিক। চোটের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। এবার তো অধিনায়কই হয়ে গেলেন।
শুধু অধিনায়ক ও কোচ নন, পরিবর্তন এসেছে নির্বাচকমন্ডলীতেও। প্রধান কোচ ও তাঁর সহকারীর সঙ্গে নতুন নির্বাচক পরিষদে থাকছেন একজন আহবায়ক। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক অধিনায়ক টাটেন্ডা টাইবুকে। মাত্র ২৯ বছরেই অবসর নেওয়ার চার বছর পর আবার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে ফিরলেন টাইবু।
হোয়াটমোরের জিম্বাবুয়ে অধ্যায়ও বছর দেড়েকের বেশি স্থায়ী হলো না। ২০১৪ সালে স্টিভ ম্যাঙ্গোঙ্গোর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের। এই জানুয়ারিতে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার এনটিনি হোয়াটমোরের সহকারীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সেই এনটিনিই আপাতত প্রধান কোচ। তবে স্থায়ী প্রধান কোচ হিসেবে ম্যাঙ্গোঙ্গো আবার ফিরতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ক্লুসনার অবশ্য জিম্বাবুয়েতে খেলে গিয়েছিলেন আগে। কিন্তু ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় আবার ফিরলেন। গত ফেব্রুয়ারিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার দল ডলফিনসের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন সাবেক এই অলরাউন্ডার।