পরিকল্পনা করেই ভারত-পাকিস্তান সূচি?
একদিনের ক্রিকেটে দু’ দলের মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজটা হয়েছিল ২০১২ সালের শেষ নাগাদ। আর সাদা পোশাকের ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট হচ্ছে না আট বছর হতে চললো। বাইশ গজের উইকেটে সবচেয়ে ‘হাই-ভোল্টেজ’ খ্যাত ‘রাইভালরি’টি তাই দর্শকদের দেখার সুযোগ মেলে কেবল আইসিসির বহুজাতিক টুর্নামেন্টগুলোতেই। কিন্তু আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য প্রকাশিত সূচি বিবেচনায় নিলে আইসিসির টানা পাঁচটি টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে পড়তে যাচ্ছে ভারত আর পাকিস্তান। সংগত কারণেই প্রশ্ন ওঠে, ব্যাপারটা ইচ্ছেকৃত নয় তো? না ষড়যন্ত্র খোঁজার প্রয়োজন নেই। খোদ আইসিসিই স্বীকার করে নিচ্ছে যে, ম্যাচটির আবেদনের কথা মাথায় রেখে ‘পরিকল্পিত’ভাবেই উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে এক গ্রুপে রাখা হচ্ছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি স্বীকার করেছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন, “সন্দেহ নেই যে আমরা আমাদের ইভেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ রাখতে চাই। আইসিসির দৃষ্টিকোণ থেকে এর গুরুত্ব অনেক বেশী। সারা বিশ্বেই এই ম্যাচের আবেদন অনেক, সমর্থকদেরও একটা প্রত্যাশা থাকে। সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টে এটা বাড়তি মাত্রাই যোগ করে।”
কিন্তু এভাবে কি টুর্নামেন্টের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে না? মি. রিচার্ডসন তা মনে করেন না, “আমরা যেটা করতে চেষ্টা করি তা হল বিভিন্ন গ্রুপের (দলগুলোর) র্যাঙ্কিংয়ের সমষ্টিতে একটা সমতা রাখা। অর্থাৎ আপনি যখন একটা গ্রুপের দলগুলোর র্যাঙ্কিং যোগ করবেন, সেটা অন্য গ্রুপের দলগুলোর র্যাঙ্কিংয়ের যোগফলের সমান হবে। এখন এটা আপনি একাধিক উপায়ে করতে পারেন। যতক্ষণ পর্যন্ত পুলগুলোর মধ্যে ভারসাম্য থাকছে, ততোক্ষণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে এমন একটা ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ হারানোর কোনো মানে হয় না।”
২০১৭ সালের ১লা জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আট দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গ্রুপ বি’তে ভারত (র্যাঙ্কিংঃ ২) ও পাকিস্তানের (র্যাঙ্কিংঃ ৮) সাথে থাকছে শ্রীলংকা (র্যাঙ্কিংঃ ৫) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (র্যাঙ্কিংঃ ৩)। আর গ্রুপ এ’তে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের (র্যাঙ্কিংঃ ৬) প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া (র্যাঙ্কিংঃ ১), বাংলাদেশ (র্যাঙ্কিংঃ ৭) ও নিউজিল্যান্ড (র্যাঙ্কিংঃ ৪)।