আমিরকে নিয়ে সমস্যা নেই কুকের, কিন্তু...
এই লর্ডস, সেই লর্ডস। মাসখানেকের ব্যবধানেই যখন ক্রিকেটতীর্থে বল হাতে নামবেন, কেমন অনুভূতি হবে তাঁর? এই মাঠ থেকেই যে কেলেংকারিতে নাম জড়িয়ে হারিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের মহা মূল্যবান পাঁচ পাঁচটি বছর! ওই মাঠেই রঙিন বলের ক্রিকেট শুরু করবেন নতুন করে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন ইতোমধ্যেই। আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত পাকিস্তান টেস্ট দলেও রাখা হয়েছে মোহাম্মদ আমিরকে।যাদের বিপক্ষে খেলবেন, তাঁদের এতে প্রতিক্রিয়া কী? ইংল্যান্ড টেস্ট দলের অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক বলছেন আমিরের বিপক্ষে খেলতে তাঁর কোনো সমস্যা না থাকলেও তিনি মনে করেন ম্যাচ পাতানোর শাস্তি হওয়া উচিৎ আজীবন নিষেধাজ্ঞা।
স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে এক বছরের ২০১০ সালের লর্ডস টেস্টে সতীর্থ মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাটের সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে ‘নো’ বল করে ফেঁসে যান। সে দায়ে এক বছর জেল খাটার পাশাপাশি পাঁচ বছর ক্রিকেট মাঠে নিষিদ্ধও হন তিনি। সে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েই সম্প্রতি ফিরে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। লর্ডসের ওই টেস্টে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড দলে ছিলেন কুকও। আসন্ন সিরিজে পাকিস্তান সফরে আমিরের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি কিভাবে দেখছেন তিনি? “ম্যাচ পাতিয়ে ধরা খেলে আপনাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিৎ। খেলাটির সততা ধরে রাখার স্বার্থেই এমন শাস্তি প্রয়োজন। কিন্তু তারমানে এই না যে আমি আমিরের ফিরে আসার বিপক্ষে। নিয়ম মতো শাস্তি ভোগ করেই সে ফিরে এসেছে। কিন্তু আমার মনে হয় শাস্তিটা আরও কঠোর হওয়া উচিৎ। তবে সেটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এমনিতে আমিরের বিপক্ষে খেলতে আমার কোনো আপত্তি নেই।”
ফিক্সিং নিয়ে নিজের অবস্থান সবিস্তারেই ব্যাখ্যা করছিলেন কুক, “২২ জন খেলোয়াড়, আম্পায়ারসহ ২৪ জন...যারা কিনা নিজেদের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করেন ভালো কিছু উপহার দিতে। এর মধ্যে আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার মনের ভিতর খচখচ করতে থাকুক, খারাপ কিছু একটা ঘটছে এই ভেবে। এর নাম তো খেলা নয়। খেলা হয় দুটো দলের মধ্যে যারা আপ্রাণ চেষ্টা করে সেটা জিততে, এখানে অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করে না। আর দর্শকরাও সেটাই দেখতে মাঠে আসে, সাজানো কিছু নয়।”
এর আগে ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডও বলেছিলেন যে আমিরের বিপক্ষে খেলতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। অবশ্য কুক জানাচ্ছেন যে দলগতভাবে তাঁরা এ ব্যাপারে কিছু ভাবেন নি।
আগামী ১৪ জুলাই লর্ডসে শুরু হবে দু’ দলের মধ্যকার প্রথম টেস্ট।