আশ্বিনে কুপোকাত বাংলাদেশ
১ম টেস্ট, চেন্নাই (টস - বাংলাদেশ/ফিল্ডিং)
ভারত - ৩৭৬ ও ২৮৭/৪ ডি. (গিল ১১৯*, পান্ট ১০৯, রাহুল ২২*, মিরাজ ২/১০৩, রানা ১/১২, তাসকিন ১/২২)
বাংলাদেশ - ১৪৯ ও ২৩৪ (শান্ত ৮২, সাদমান ৩৫, জাকির ৩৩, আশ্বিন ৬/৮৮, জাদেজা ৩/৫৮, বুমরাহ ১/২৪)
ভারত ২৮০ রানে জয়ী
পরাজয়টা হয়ত লেখা হয়ে গিয়েছিল গতকালই, তবে ছিল লড়াইয়ের জায়গা। বাংলাদেশ সেখানেও ব্যর্থ। সকালের সেশনেই গুটিয়ে গিয়ে ভারতকে বিশাল জয় উপহার দিয়েই সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।
দিনের শুরুটা সাবধানে করেছিলেন শান্ত-সাকিব জুটি। পেসাররা দারুণ লাইন-লেংথ বজায় রেখে বল করে গেলেও মনোযোগ ধরেই খেলছিলেন দুজনে। তবে জাদেজা আক্রমণে আসতেই অফ স্টাম্পের বাইরের রুক্ষ জায়গাটা ব্যবহার করতে দেখা গেল তাকে। চেন্নাইয়ে দুই স্পিনার আশ্বিন-জাদেজা সেটাই করে থাকেন। সেই স্পিন প্রতিহত করতেই যেন শান্ত যেমন অনেকটাই ঝুঁকে সুইপ করতে যাচ্ছিলেন, সাকিবও প্রায় বেরিয়ে আসছিলেন। ১৭ রানে থাকতে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ পান্ট ফেলে দেওয়ায় বেঁচে যান। এরপর আশ্বিন বল হাতে নিলে তার দিনের প্রথম ওভারেই ওই সামনে ঝুঁকে ঠেকাতে গিয়েই ব্যাট-প্যাড হয়ে জয়সওয়ালের ক্যাচে সাকিব থামেন ২৫ রানে।
সেখান থেকেই যেন তাসের ঘরের মতো লুটিয়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। জাদেজার তীক্ষ্ণ ঘূর্ণি সামলাতে না পেরে ১ রানেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। উইকেটে এসে মিরাজ যেন আশ্বিনকে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরলেন, লং অনে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে ৮ রানে ফিরে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া আশ্বিন টেস্টে ৩৭তম বারের মতো পেয়ে যান ফাইফারের দেখা। একই টেস্টে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো সেঞ্চুরি ও ফাইফারের দেখা পেলেন আশ্বিন।
স্বীকৃত আর কোনো ব্যাটার না থাকায় যথারীতি আক্রমণের পথ বেঁছে নেন সকালে প্রতিরোধ গড়ে তোলা শান্ত। তবে জাদেজাকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শেষ হয় তার ১২৭ বলে ৮২ রানের ইনিংস। পরে তিন বলের মধ্যেই আশ্বিন-জাদেজা জুটি বাংলাদেশের লেজ গুটিয়ে পেয়ে যায় বড় জয়।