ম্যাড়ম্যাড়ে টেস্টে প্রাণ ফেরাল ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডব
২য় টেস্ট, কানপুর (টস - ভারত/ফিল্ডিং)
বাংলাদেশ - ২৩৩ (মুমিনুল ১৭*, শান্ত ৩১, সাদমান ২৪, বুমরাহ ৩/৫০, দ্বীপ ২/৪৩, আশ্বিন ২/৪৫) ও ২৬/২ (জাকির ১০, আশ্বিন ২/১৪)
ভারত - ২৮৫/৯ ডি. (জয়সওয়াল ৭২, রাহুল ৬৮, কোহলি ৪৭, মিরাজ ৪/৪১, সাকিব ৪/৭৮, হাসান ১/৬৬)
৪র্থ দিন, স্টাম্পস
বাংলাদেশ ২৬ রানে পিছিয়ে
কানপুর টেস্টটা ম্যাড়ম্যাড়ে এক সমাপ্তির দিকে আগানোর কথা ছিল, হয়ত ব্যক্তিগত মাইলফলক ছোঁয়ার এক উপলক্ষ হয়ে থাকতে পারত এই ম্যাচ। সেই যাত্রায় সফল বাংলাদেশের মুমিনুল। তবে কানপুরের বৃষ্টিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ম্যাচ জয়ের পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টাতেও সফল ভারত। অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে বাজবলকেও যেন হার মানাল ভারত। জয়সওয়াল, রাহুলদের সুবাদে এক দিনেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে এখন শেষ দিনে ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন বুনছে স্বাগতিকরা।
অথচ দিনের শুরু থেকেই পিচে তেমন কোনো জুজু ছিল না। প্রথম সেশনে ভারত যে উইকেট তিনটা পেল তাতে বাংলাদেশের কাওকে দোষ দেওয়ারও জায়গা নেই। পিচ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাও সিমের ওপর বল ফেলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মুশফিকের স্টাম্প উপড়ে ফেললেন বুমরাহ। উইকেটে আসা লিটন বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিড অফের ওপর দিয়ে বল বের করে ফেলেছিলেন প্রায়; অথচ রোহিত শর্মা লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত এক ক্যাচে হতবিহবল করে দিল তাকে। সাকিবের শট সিলেকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। তবে পিছে গিয়েও পড়ে যেতে যেতে সিরাজ যেই ক্যাচটা ধরলেন তা এক কথাইয় দুর্দান্ত। এক প্রান্ত আগলে একাই লড়ে যাওয়া মুমিনুল ফিরতে পারেন লাঞ্চের এক ওভার আগে। তবে অসাধারণ সব ক্যাচের সারিতে দাঁড়াতে পারলেন না কোহলি। ৯৫ রানে থাকা মুমিনুলকে থামাতে পারলেন না দুর্দান্ত স্লিপ ক্যাচে।
লাঞ্চের আগের ওভারে তাই আশ্বিনকে সুইপ করে ১তম সেঞ্চুরি পেয়ে যান বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান। তবে মুমিনুলের প্রচেষ্টা মাটি করে পরের সেশন শুরু হতেই ২৮ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুমিনুল দেখলেন আসা যাওয়ার মিছিল, পড়ে রইলেন ১০৭* রানে।