'সেই আমির এখন পরিবারের অংশ'
ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছিলেন ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম প্রতিভাবান বাঁহাতি পেসার হিসেবে। কিন্তু ম্যাচ পাতানোর কেলেংকারিতে জড়িয়ে মোহাম্মদ আমির পথ হারাতে বসেছিলেন অন্ধকার কানাগলিতে। জেলের ঘানি তো টানতে হয়েছেই, সব ধরণের ক্রিকেটে নির্বাসিত থাকতে হয়েছে পাঁচ পাঁচটি বছর। তাতেও অবশ্য তরুণ এই পাকিস্তানিকে দমিয়ে রাখা যায় নি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আলো ছড়িয়ে নির্বাচকদের বাধ্য করেছেন তাঁকে বিবেচনায় নিতে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ রাজী হলেই হবে? জাতীয় দলের একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার ঘোষণা দিয়েছিলেন, কোনো ‘জুয়াড়ি’কে তাঁদের ড্রেসিং রুমে জায়গা দেয়া হবে না। বছরখানেকের ব্যবধানে অবশ্য পাল্টে গেছে অনেক কিছুই। সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার উপলক্ষটাও যখন আসন্ন, পাকিস্তান দলে তাঁর সতীর্থ পেসার ওয়াহাব রিয়াজ বলছেন, আমির এখন তাঁদের পরিবারেরই অংশ।
আগামী জুলাইয়ে পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফরে সঙ্গী হবেন আমিরও। অন্য কোনো ঝামেলা না হলে দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তিটাও একপ্রকার নিশ্চিতই। সে হিসেবে যে লর্ডসে কেলেংকারিতে জড়িয়েছিলেন, সেখান থেকেই আবার নতুন করে শুরু করবেন সাদা পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
আর সে পথচলায় আমির পাশে পাচ্ছেন তাঁর সতীর্থদের। ওয়াহাব রিয়াজ অবশ্য মনে করেন আমির নিজেই যথেষ্ট নিজের জন্য, “সন্দেহ নেই যে সে অনেক কষ্ট করছে। গত পাঁচ বছরে সে অনেককিছু শিখেছে। আগের চেয়ে ও এখন অনেক পরিণত। আর সবাইকে সে তাঁর পারফরম্যান্স দিয়েই জবাব দিতে চায়।”
আমিরের প্রতি কারও আর কোনো ক্ষোভ নেই বলেই দাবী ওয়াহাবের, “দল আর বোর্ডের সবাই তাঁর পাশে আছে। আমরা সবাই তাঁকে সাহায্য করছি এবং করব, যখন আর যেভাবে সে চায়। সুতরাং তাঁর নিঃসঙ্গ বোধ করার কোনো কারণ নেই। সে এখন আমাদের পরিবারেরই অংশ। সে এই পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য। আমাদের কাছে সে সন্তানতুল্য, কারও কাছে ভাইয়ের মতো। আমরা তাঁর পাশে আছি এবং থাকবো। আমরা তাঁর কাছ থেকে সেরাটা বের করে নিতে চাই, কারণ আমরা জানি সে কী করার ক্ষমতা রাখে।”