• " />

     

    চূড়ান্ত হচ্ছে ক্রিকেটের রদবদল?

    চূড়ান্ত হচ্ছে ক্রিকেটের রদবদল?    

    টেস্ট আর একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় ধরণের রদবদলের কথা শোনা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন থেকেই। আর এসব সংস্কারের খসড়া প্রস্তাবনা উঠতে পারে আইসিসির পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক সাধারণ সভায়। স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গে আগামীকাল সোমবার থেকে সপ্তাহকালব্যাপী এ সভা শুরু হবে।

     

    টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ঘরোয়া আসরগুলোতে অর্থের ঝনঝনানি ক্রিকেটারদের বিমুখ করে ফেলছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলার চেয়ে আইপিএলের মতো ঘরোয়া কোনো টিটোয়েন্টি লিগে খেলতে বেশী আগ্রহী অনেক ক্রিকেটারই। ফলশ্রুতে, আশংকাজনকহারে কমছে পাঁচ দিনের ক্রিকেটের আবেদন। বোদ্ধারা বলছেন, টেস্ট ক্রিকেটের এই ক্ষয়িষ্ণু জৌলুস পুনরুদ্ধারেই আইসিসির সংস্কার পরিকল্পনা। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন যেমন বলছিলেন, “আমরা প্রয়োজনে কিছুটা কম খেলতে চাই, কিন্তু সেটুকু অর্থবহ করে খেলতে চাই।”

     

    টেস্ট ক্রিকেটকে আরও ‘অর্থবহ’ করে তুলতেই চিন্তা করা হচ্ছে দুই স্তরবিশিষ্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের। যেখানে শীর্ষ ৭ দল প্রথম ভাগে ও পরের ৫টি দল দ্বিতীয় ভাগে থাকবে। দুই বছরের চক্রে একটি গ্রুপের দলগুলো ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে একে অপরের সাথে খেলবে। প্রতিটি ম্যাচ ও সিরিজের জন্য থাকবে পয়েন্টের ব্যবস্থা। এই ভিত্তিতে দুই বছর অন্তর প্রথম স্তরের তলানিতে থাকা দলটি নেমে যাবে দ্বিতীয় স্তরে আর দ্বিতীয় স্তরের শীর্ষ দলটি উঠে আসবে প্রথম স্তরে। তবে অ্যাশেজের মত ঐতিহ্যবাহী সিরিজগুলোর আয়োজন অব্যাহত থাকবে যদিও বা ওই সিরিজের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল দুই স্তরে থাকে। সেজন্য আইসিসির সূচির বাইরেও বোর্ডগুলোর পারস্পরিক সমঝোতায় সিরিজ আয়োজনের সুযোগ থাকবে।

     

    এছাড়া একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রচলিত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের চল উঠে গিয়ে বসতে পারে ১৩ দলের অংশগ্রহণে বছরব্যাপী লিগ। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের যোগ্যতাও নিরূপণ হতে পারে এই লিগ দিয়েই।

     

    এসব খসড়া পরিকল্পনা আইসিসির এবারের বার্ষিক সাধারণ সভায় ওঠার কথা রয়েছে। অনুমোদন হলে ক্রিকেটের নতুন যুগের সূচনা হতে পারে এখান থেকেই।