দুই-স্তরের টেস্ট ক্রিকেটের বিপক্ষে একাট্টা এশিয়া
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেরই গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার প্রস্তাব খবরের শিরোনাম হয়ে আছে বেশ কিছু দিন। আর সেসব প্রস্তাবের উপর আলোচনাই আইসিসির চলতি বার্ষিক সাধারণ সভার মূল আলোচ্যসূচি। স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গে অনুষ্ঠানরত ওই সভার নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানাচ্ছে, টেস্ট ক্রিকেটকে দ্বিস্তর বিশিষ্ট করার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, এশিয়ার চার টেস্ট খেলুড়ে দেশই সেটির বিরোধিতা করছে।
বর্তমানে আইসিসির টেস্টখেলুড়ে দেশের সংখ্যা দশটি। প্রস্তাবিত কাঠামোয় দুই স্তরে মোট বারোটি দলকে টেস্ট খেলার সুযোগ দেয়ার কথা। প্রথম স্তরে শীর্ষ সাত দল ও দ্বিতীয় স্তরে খেলবে আরও পাঁচটি দল। প্রতি দুই বছরের মেয়াদ শেষে প্রথম স্তরের তলানিতে থাকা দল দ্বিতীয় স্তরে ও দ্বিতীয় স্তরের শীর্ষে থাকা দল প্রথম স্তরে উঠে আসার কথা।
কিন্তু এশিয়ার চার টেস্টখেলুড়ে দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা- সবক’টি দেশের ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকেই আইসিসির চলতি সভায় এই প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। একই দলে আছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডও। বাকি দেশগুলোর অবস্থান বা এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু এখনও জানা যায় নি।
প্রস্তাবিত এই পদ্ধতি কার্যকর হলে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে মূলত বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়েকে। র্যাঙ্কিংয়ের নয় ও দশ নম্বরে থাকা দল দুটোর নির্ধারিত সময়ে অবস্থানের উন্নতি না হলে অন্তত দুই বছরের জন্য নেমে যেতে হবে দ্বিতীয় স্তরে। র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে আট নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্যও প্রস্তাবটি আশংকাজনক।
বিপরীতে নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, নেপালের মতো সহযোগী সদস্য দেশগুলো টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে। এ নিয়ে নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন দেশগুলোর ক্রিকেট কর্তারা। কিন্তু এশিয়ার চার টেস্টখেলুড়ে দেশের বিরোধিতার মুখে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গের বেদনাই সম্বল হতে পারে তাঁদের।