'জোড়াতালি'র আর্জেন্টিনা, নেইমারে স্বপ্নাতুর ব্রাজিল
গত সপ্তাহেও অনিশ্চিত ছিল, আদৌ অলিম্পিকে দল পাঠাবে কিনা আর্জেন্টিনা। অন্যতম কারণ বিভিন্ন ক্লাব থেকে খেলোয়াড়দের ছাড়পত্র না পাওয়ায় আঠারো সদস্যের স্কোয়াড বানাতেই হিমশিম খাচ্ছিল আলবিসেলেস্তেরা। তবে শেষ পর্যন্ত স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে, আর সেটা ‘একরকম’ জোড়াতালি দিয়েই। জুভেন্টাসের পাওলো ডিবালা আর ইন্টার মিলানের মাউরো ইকার্দিকে পাওয়া হচ্ছে না, এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা নিশ্চিত করা হল এবার। বিপরীতে ফুটবলে অধরা অলিম্পিক সোনার খোঁজে আটঘাট বেঁধে নামা ব্রাজিল দলে প্রত্যাশিতভাবেই জায়গা পেয়েছেন নেইমার।
‘অখ্যাত’ আর্জেন্টিনা দলে উল্লেখযোগ্য নাম দুই ফরোয়ার্ড অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের অ্যাঙ্গেল কোরেয়া আর অ্যাটলেটিকোর কোচ দিয়েগো সিমিওনের ছেলে রিভার প্লেটের জিওভানে সিমিওনে। পুরো স্কোয়াডে বিদেশী লিগের খেলোয়াড় আছেন পাঁচজন যাদের দু’জন খেলছেন ব্রাজিলে। কোপা ব্যর্থতার পর কোচ জেরার্ড মার্টিনো সরে দাঁড়ানোয় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের সাথে ব্রাজিল যাবেন অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ হুলিও ওলার্তিকোচেয়া।
আর্জেন্টিনার অলিম্পিক কমিটির প্রধান জেরার্ডো ওয়ারথেইন বলছিলেন, দল বানাতে তাঁদের গলদঘর্ম হওয়ার কথা, “বলতে পারেন সাঁড়াশী দিয়ে টেনেটুনে দল দাড় করিয়েছি।”
কোপা আমেরিকা নয়তো অলিম্পিক- যে কোনো একটি উপলক্ষে পাওয়া যাবে নেইমারকে, ব্রাজিলের সামনে এমন শর্তই বেঁধে দিয়েছিল বার্সেলোনা। শিরোপা জয়ে সমৃদ্ধ অতীতে ফুটবলতীর্থের দেশটির অভাব কেবল একটি অলিম্পিক সোনারই। ঘরের মাঠে সেটা জয়ের মিশনে দেশসেরা ফুটবলারটিকে অলিম্পিক স্কোয়াডের জন্যই বেছে নেয় সেলেকাওরা। সেখানে তাঁর সঙ্গী হবেন বার্সা-সতীর্থ মিডফিল্ডার রাফিনহা। আছেন ‘ছোট নেইমার’ হিসেবে ইতোমধ্যেই খ্যাতি পেয়ে যাওয়া স্যান্টোসের তরুণ তুর্কী গ্যাব্রিয়েল ‘গাবিগোল’ বারবোসা। আক্রমণে নেইমারদের সঙ্গী হতে পারেন পালমেইরাসের আরেক সম্ভাবনাময় তরুণ গ্যাব্রিয়েল হেসুস।
১৮ সদস্যের আর্জেন্টিনা দলঃ
গোলরক্ষক: জেরোনিমো রুইয়ি (রিয়াল সোসিয়েদাদ), অ্যালেক্স ওয়ার্নার (অ্যাটলেটিকো ডি রাফায়েলা)
রক্ষণভাগ: ভিক্টর কুয়েস্তা (ইনদিপেন্দিয়েন্তি), লতারো জিয়ানেত্তি (ভেলেজ সার্সফিল্ড), লিসান্দ্রো মাগাইয়ান (বোকা জুনিয়র্স), হোসে লুইস গোমেজ (লানাস), অ্যালেক্সিস সতো (ব্যানফিল্ড), লিয়ান্দ্রো ভেগা (রিভার প্লেট)
মধ্যমাঠ: ম্যানুয়েল লানজিনি (ওয়েস্ট হাম), সান্তিয়াগো আসকাসিবার (এস্তুদিয়ান্তেস), জিওভানি লো সেলসো (রোজারিও সেন্ট্রাল), মরিসিও মার্টিনেজ (ইউনিয়ন দে সান্তা ফে), হোয়াকুইন আরজুরা (রিভার), লুকাস রোমেরো (ক্রুজেইরো)
আক্রমণভাগ: অ্যাঙ্গেল কোরেয়া (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), জিওভান্নি সিমিওনে (রিভার), জোনাথন ক্যালেরি (সাও পাওলো) ও ক্রিস্টিয়ান এসপিনোজা (হুরাকান)
১৮ সদস্যের ব্রাজিল দলঃ
গোলরক্ষক: ফার্নান্দো প্রাস (পালমেইরাস), উলিসন (অ্যাটলেটিকো মিনেইরো)
রক্ষণভাগ: মারকিনিওস (পিএসজি), উইলিয়ান (ইন্টারন্যাসিওনাল), রদ্রিগো কায়ও (সাও পাওলো), লুয়ান (ভাস্কো ডা গামা), ডগলাস সান্তোস (মিনেইরো), জেকা (সান্তোস)
মধ্যমাঠ: রাফিনহা (বার্সেলোনা), ওয়ালেস (গ্রেমিও), রদ্রিগো দুয়ার্দো (ইন্টারন্যাসিওনাল), থিয়াগো মাইয়া (সান্তোস), ফেলিপে অ্যান্ডারসন (লাৎসিও), রেনাতো অগুস্তো (বেইজিং গুয়ান)
আক্রমণভাগ: নেইমার (বার্সেলোনা), গ্যাব্রিয়েল (সান্তোস), গ্যাব্রিয়েল হেসুস (পালমেইরাস), লুয়ান (গ্রেমিও)