টেস্ট ক্রিকেটের দৈর্ঘ্য কমানোর প্রস্তাব
টি-টোয়েন্টির যুগে ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলছে ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণ। পাঁচদিনের ক্রিকেট ম্যাচ দেখার চেয়ে দর্শকরা এখন তিন ঘন্টার টি-টোয়েন্টি দেখতেই বেশী আগ্রহী। আর তাই সময়ের সাথে সাথে হুমকির মুখে ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী এ সংস্করণ। টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক টানতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা; শুরু হয়েছে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্টও। তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান ডেভিড হোয়াইটের মতে ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণকে টিকিয়ে রাখতে কমানো উচিত ম্যাচের দৈর্ঘ্য।
ডেভিড হোয়াইটের বিশ্বাস গোলাপি বলে ডে-নাইট টেস্ট, দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেট এবং ম্যাচের সময় পাঁচদিন থেকে কমিয়ে চারদিন করলে হারানো জনপ্রিয়তা ফিরে পাওয়া সম্ভব। টেস্ট ক্রিকেটে সময় কমানোর পক্ষে কিউইদের ক্রিকেট প্রধানের যুক্তি, “এটা খেলোয়াড়দের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দেবে।” গতবছর অ্যাডিলেইডে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সেটিকে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে অভিহিত করে মি. হোয়াইট প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উন্নয়নে জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেটের সময় কমানোর প্রস্তাব দেন সাবেক অজি অধিনায়ক মার্ক টেইলর। এরপর শেন ওয়ার্ন ও গ্রেগ চ্যাপেলদের মত কিংবদন্তি এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভসও সমর্থন জানিয়েছেন এই ধারণাটিকে। এবার সেই দলে যোগ দিলেন কিউই ক্রিকেট প্রধানও, “আমাদের এই বিষয়টিতে নজর দেয়া উচিত। বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে তিন ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলতে হলে চার সপ্তাহের বেশি সময় লাগে। চার সপ্তাহ বিশাল সময়। তবে আমরা যদি চারদিনের টেস্ট খেলি তাহলে তিন সপ্তাহেই সিরিজটি শেষ করা সম্ভব। এতে একটা সপ্তাহ বেঁচে যাচ্ছে।”
ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণের সময় কমানোর মত দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেটের পক্ষেও অবস্থান নিচ্ছেন তিনি। এর ফলে টেস্টের জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে বলেই তাঁর বিশ্বাস।