সিমিওনেকে 'ভাগাভাগি' করতে চায় আর্জেন্টিনা
কোপা আমেরিকায় ‘ব্যর্থতা’র দায় কাঁধে নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন জেরার্ডো মার্টিনো। টানা তৃতীয় ফাইনালে হারের পর মেসির আচমকা অবসরের ঘোষণা, আরও একাধিক খেলোয়াড়ের জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখার আভাস; বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মাঝ পথে কোচও অব্যাহতি নেওয়ায় বেশ বিপাকেই আর্জেন্টিনার ফুটবল। আসন্ন অলিম্পিকের জন্য অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হলেও দীর্ঘ মেয়াদে কোচ খুঁজে পেতে খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছে আলবিসেলস্তেদের। ক্লাব ফুটবলের ‘হাই প্রোফাইল’ কোচদের জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে অনীহাটাও নতুন নয়। তবে এই সংকট সমাধানে একটু ভিন্ন পথেই হাঁটতে চাইছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন। বলা হচ্ছে, কোনো ক্লাবের দায়িত্বে থাকা কোচ বর্তমান চাকুরি না ছেড়েই নিতে পারেন আর্জেন্টিনার দায়িত্ব। আর এমন চুক্তির জন্য এএফএ’র প্রথম পছন্দ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আর্জেন্টাইন ম্যানেজার দিয়েগো সিমিওনে।
কোচ নিয়োগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির একজন সদস্য ফার্নান্দো মারিন বলছিলেন খেলোয়াড়রা যদি ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের দায়িত্বও পালন করতে পারেন, কোচরা কেন পারবেন না? “তাঁর (সিমিওনে) ক্লাবের চাকুরী ছাড়ার তো কোনো প্রয়োজন নেই। কেবল আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর সময়ে আমাদের দলের সাথে তাঁকে পেলেই হল। আর্জেন্টিনা দলের যারা ইউরোপে খেলেন তাঁরা যদি এটা করতে পারেন, সিমিওনেও পারবেন।”
ওই সদস্য বলছেন শেষ পর্যন্ত সিমিওনে না হলেও অন্য কোনো ক্লাবের কোচকে তাঁরা এভাবে ‘ভাগাভাগি’ করে নিতে আগ্রহী। সে তালিকায় আছেন আরও দুই আর্জেন্টাইন টটেনহ্যামের কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো ও সেভিয়ার হোর্হে সাম্পাওলি। এঁদের যে কাউকে খণ্ডকালীন দায়িত্ব দিয়ে একজন পূর্ণকালীন সহকারী রাখার পক্ষে মি. মারিন, “এই তিনজনের যে কোনো একজনকেই আমরা বেছে নিতে পারি। একজন সহকারী থাকতে পারেন যে সারা বছর দলের দেখভাল করবে। খেলার সময় প্রধান কোচ এসে দলের সাথে যোগ দেবেন।”