• " />

     

    সাত গোলের থ্রিলারে লিভারপুলের জয়

    সাত গোলের থ্রিলারে লিভারপুলের জয়    

    ছিলেন না মার্টেস্যাকার, কসিয়েলনি, ওজিল, জিরু। ক্লপের লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচটা কঠিনই হবে বলে ধারণা করেছিলেন অনেকেই। এই চতুষ্টয়ের অনুপস্থিতিতেও শুরুটা দারুণ ভাবেই করেছিল গানাররা। ২৮ মিনিটে ওয়ালকটকে করা মরেনোর হাস্যকর ট্যাকেলে পেনাল্টিও পায় আর্সেনাল। কিন্তু ওয়ালকট নিরীহ পেনাল্টি বাঁচিয়ে লিভারপুলকে সমতায় রাখেন সমালোচনার মুখরিত হওয়া মিনিওলে।

    কিন্তু এর মিনিট দুয়েক পরে ঠিকই এগিয়ে যায় আর্সেনাল। উঠতি তারকা ইওবির চমৎকার পাসে গোল করেন সেই ওয়ালকটই। কিন্তু প্রথমার্ধের কিছু আগে দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে চেককে পরাস্ত করে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান কৌতিনহো। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ সমতায়।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দেখা মেলে অন্য এক লিভারপুলের। ক্লপের ‘হাফ-টাইম টিম টক’ যে কাজে দিয়েছে, তা বোঝা যায় যখন দ্বিতীয়ার্ধের চার মিনিটের মাথায়। ফিরমিনো-কৌতিনহো হয়ে ওয়াইনাল্ডামের চিপ ক্রসে নিয়ন্ত্রণে এনে চেককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান লালানা।

    ৫৬ মিনিটের মাথায় ক্লাইনের ক্রসে পা ছুঁয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন কৌতিনহো। এর দু মিনিট পরেই হ্যাট্রিক করে ফেলতে পারেন কৌতিনহো, কিন্তু চেকের দুর্দান্ত সেভে ব্যবধানটা থাকে দুইয়েই। এর ৫ মিনিট পরেই মানের অসাধারণ একক প্রচেষ্টায় ১-৪ গোলে এগিয়ে যায় ক্লপের শিষ্যরা। লংবল নিয়ন্ত্রণে এনে আর্সেনালের দুজনকে কাটিয়ে বাম পায়ের বুলেট শটে লিভারপুলের চতুর্থ গোল করেন সাদিও মানে।

    আর্সেনালের জবাব দিতে লেগেছে মাত্র ১১২ সেকেন্ড! রামসির বদলে নামা চেম্বারলেইনের শট লিভারপুলের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে পরাস্ত করে মিনিওলেকে। ম্যাচের ১৫ মিনিটে বাকি থাকার সময় কাজোরলার ফ্রিকিকে মাথা ছুঁয়ে ব্যবধানটা একে নামিয়ে আনেন চেম্বারস। বাকিটা সয় অনেক চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারেনি আর্সেনাল। ফলশ্রুতিতে গত মৌসুমের মত এবারও প্রথম ম্যাচে হোমেই হারলো আর্সেনাল।