পদক হারাতে পারেন বোল্ট?
টানা ৩ অলিম্পিকের ৯ ইভেন্টে অংশ নিয়ে সবক’টিতেই স্বর্ণ, বলা হচ্ছে স্প্রিন্টিং ইভেন্টে এই নজিরবিহীন ‘ট্রিপল ট্রিপল’ উসাইন বোল্টকে এনে দিচ্ছে অমরত্ব। রিওর ময়দান ছাড়িয়ে জ্যামাইকান জায়ান্টের জয়গান যখন ছড়িয়ে পড়ছে দুনিয়াজুড়ে, তখনই এলো দুঃসংবাদটা। অমূল্য এই ৯ স্বর্ণের একটি হারাতে হতে পারে বোল্টকে! তবে সেটা তাঁর নিজের দোষে নয়, বেইজিং অলিম্পিকের ১০০ মিটার রিলেতে তাঁর সতীর্থ নেস্তা কার্টার নতুন করে করা এক ডোপ টেস্টে প্রাথমিকভাবে ‘পজিটিভ’ প্রমাণিত হয়েছেন। এর ফলে ওই ইভেন্টে কার্টারসহ পদক হারাতে পারেন জ্যামাইকা দলের ৪ সদস্যই।
বেইজিং অলিম্পিকের ১০০ মিটার রিলেতে স্বর্ণজয়ী জ্যামাইকা দল (নেস্তা কার্টারঃ বাঁ থেকে দ্বিতীয়)
নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকের অন্তত ৩১ প্রতিযোগী নতুন করে করা এক ডোপ টেস্টে ‘পজিটিভ’ হয়েছেন বলে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে সে তালিকায় আছে কার্টারের নামও। ওই আসরে এবং পরবর্তী ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকেও কার্টার বোল্টদের ১০০ মিটার রিলে দলে ছিলেন।
সম্প্রতি রুশ অ্যাথলেটদের বিরুদ্ধে ‘গণহারে’ নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর এ নিয়ে শুরু হওয়া তোলপাড়ের মধ্যেই বেইজিং আসরের ৩৫৪ জন প্রতিযোগীর রক্ত ও মূত্রের নমুনা নতুন করে পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এঁদের মধ্যে অন্তত ৩১ জন প্রাথমিকভাবে ‘পজিটিভ’ প্রমাণিত হয়েছেন।
বলা হচ্ছে, কার্টার ওই সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত মিথাইলহেক্সানামাইন গ্রহণ করেছিলেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় এমন প্রমাণ আসার পর অপেক্ষা চলছে চূড়ান্ত ফলাফলের। গত জুন মাসে তাঁর দ্বিতীয় নমুনাটি পরীক্ষা হওয়ার কথা।
শেষ পর্যন্ত অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হলে কার্টার তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়াসহ হারাতে পারেন পদক। সেই সাথে কেড়ে নেওয়া হতে পারে বেইজিং অলিম্পিকের ১০০ মিটার রিলেতে তাঁর তিন সঙ্গীর পদকও। সেক্ষেত্রে বোল্টের ‘ট্রিপল ট্রিপল’ অর্জনেও আসতে পারে আঘাত।
ইতিহাসের ষষ্ঠ দ্রুততম মানব হিসেবে বিবেচিত কার্টার দুটি অলিম্পিক ছাড়াও বোল্টের সঙ্গী হিসেবে জিতেছেন তিনটি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ রিলের স্বর্ণ। তবে তাঁর বাকি পদকগুলো নিয়ে কোনোরকম শঙ্কার কথা এখনও জানা যায় নি।