কালই জানা যাবে ইংল্যান্ড সফরের ভবিষ্যত
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আরটিজান রেস্তোরাঁতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল ধোঁয়াশা। এই ইস্যু মীমাংসা করতেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা দলের প্রধান রেগ ডিকসনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের দল দুই সপ্তাহের সফরে এসেছিলেন বাংলাদেশ এবং ভারতে। দুই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেশে ফিরে গিয়েছেন তারা। আগামীকাল খেলোয়াড়দের সাথে বৈঠকের কথা আছে তাঁদের। তারপরই জানা যাবে ইংল্যান্ড আসছে কি না।
কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এউইন মরগান বলেছিলেন, খেলোয়াড়দের জোর করা হবে না বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে। এই বক্তব্যের পর সফর বাতিলের আশংকা বেড়ে গিয়েছিল। তবে মরগান কাল নিশ্চিত করে কিছু জানাননি, “বোর্ডের সাথে মিটিংয়ের অপেক্ষায় আছি। দ্রুতই ব্যাপারটির মীমাংসা হয়ে যাওয়া দরকার। আর প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নিজস্ব মতামত অবশ্যই প্রাধান্য পাবে। কারণ জীবনটা তাঁদের নিজের। আশা করি বোর্ড এই ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনাই করবে।”
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড তাঁদের অনূর্ধ্ব ১৯ এবং সিনিয়র দলকে বাংলাদেশ সফরে আসতে দেয়নি। ব্যাপারটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কর্মকর্তারা। যদিও নিরাপত্তার ব্যাপারে মরগানের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যরকম, “বাংলাদেশে আসলে কেমন নিরাপত্তা ঝুঁকি সেটা আমরা এখান থেকে বুঝতে পারব না। মিডিয়ার বক্তব্য সবসময় বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে না।”
খেলোয়াড়দের মতামত অবশ্য ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড আগেও বিবেচনা করেছে। ২০০১ সালে নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত সফরে যেতে চাননি অ্যান্ডি ক্যাডিক ও রবার্ট ক্রফট, সেবার তাঁদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল বোর্ড। তাই এবারো এরকম দাবি উঠলে বোর্ডের থেকে সহযোগিতা পাওয়ার আসাই করছেন খেলোয়াড়েরা।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে মরগানদের। ব্রিটিশ হাই কমিশন থেকে নির্দেশ দেয়া আছে সব ব্রিটিশ নাগরিকদের সতর্কভাবে চলাফেরা করার জন্য । এই অবস্থায় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা কি সিদ্ধান্ত নিবেন এটাই দেখার বিষয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ভক্তদের কামনা সব আশংকা উড়িয়ে দিয়ে ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশে খেলতে আসবে।