ইংল্যান্ডের আগে আসছে আফগানিস্তান?
ইংল্যান্ডের সফর নিয়ে শংকা আপাতত কেটে গেছে। সব ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়েই ঢাকায় পা রাখবেন মরগানরা। এদিকে প্রায় বছরজুড়েই দর্শক হয়ে বসে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য সামনে ব্যস্ত সময়ই অপেক্ষা করছে। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইংল্যান্ডের বাইরেও একাধিক দেশের বোর্ডের সাথে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে আগামী মাসে আফগানিস্তান দলের বাংলাদেশ সফর একরকম চূড়ান্তই। বিষয়টি নিশ্চিত করা আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) এক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুসারে, একদিনের আন্তর্জাতিক ওই সিরিজের সূচিটাই নির্ধারণ করা বাকি কেবল।
ক্রিকইনফোর সাথে এক সাক্ষাৎকারে এসিবি’র মিডিয়া ম্যানেজার আজিজ ঘারওয়াল জানিয়েছেন বিসিবির সাথে এ ব্যাপারে তাঁদের কথাবার্তা চলছে, “এখনও কাগজে-কলমে কিছু চূড়ান্ত হয় নি। দিনতারিখও ঠিক হয় নি। তবে খুব শীঘ্রই আমরা এই সিরিজের সূচি আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবো।”
দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও বিসিবি সূত্রে জানা গেছে ঈদের ছুটির পরপরই মাঠে গড়াতে পারে দুই দেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিয় সিরিজটি। তবে সিরিজে কতোগুলো ম্যাচ থাকতে পারে সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায় নি। মোহাম্মদ নবীদের বিপক্ষে এখনও পর্যন্ত ২টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সাফল্যের হার দু' দলেরই সমান। এছাড়া একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে বড় ব্যবধানেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে।
এদিকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছেন আফগানিস্তান ছাড়াও আরও একটি দলের সাথে তাঁদের আলোচনা চলছে, “তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।” ‘সম্ভাব্য অনেককিছু নিয়েই আলোচনা’ হছে জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আশ্বস্ত করছেন দ্রুতই ইতিবাচক কিছু জানাতে পারবেন বলে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজটিই ছিল বাংলাদেশের শেষ দ্বিপাক্ষিয় আন্তর্জাতিক সিরিজ। মাশরাফিরা সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন সে-ও গত মার্চে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ওই টুর্নামেন্টের পর টেস্টখেলুড়ে সবক’টি দলই অন্তত একটি করে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেললেও বেকার বসে আছে কেবল বাংলাদেশই। মাঝে গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর এই ‘বসে থাকা’ আরও দীর্ঘতর হওয়ারই শংকা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফে সফর বহাল রাখার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে গত কয়েক মাসের গুমোট ভাবটা হালকা করে দিয়েছে অনেকটাই।