• " />

     

    সেই ভারতের এবার অন্য সুর

    সেই ভারতের এবার অন্য সুর    

    টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে ভাগ করে ফেলার পরিকল্পনাটা বোধহয় এবার ভেস্তেই যাচ্ছে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এই দ্বিস্তর নীতির পক্ষে। একটা সময় ভারতও এই নীতির পক্ষে ছিল। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিসিআই) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁরা এই সিদ্ধান্তের সমর্থন করে না। বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর গতকাল ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এইসব ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলেন।

     

    কয়েক বছর আগে প্রস্তাব তোলা হয়, র‍্যাঙ্কিংয়ের প্রথম ৭ দল ওপরের স্তরে এবং পরের ৩ টি দল নিচের স্তরে থাকবে। তাদের সাথে যোগ দেবে সহকারী ২ টি দেশ। এই দুই স্তরের টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো শুধুমাত্র নিজেদের মাঝেই খেলতে পারবে। শুরু থেকেই এই নিয়মের বিরোধিতা করে আসছে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলো। এবার সবচেয়ে প্রভাবশালি বোর্ডের প্রেসিডেন্টের মুখেও শোনা গেল একই কথা, “এই প্রস্তাব আইসিসির মূলনীতির বিরোধী। আইসিসির কাজ হচ্ছে খেলাটাকে বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে দেয়া। উপরের স্তরের দেশগুলোর জন্য এটা ভাল হলেও নিচের সারির দলের জন্য খুব বেশি খারাপ হবে।ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলোকে আমাদের সাহায্য করার কথা। কিন্তু এই নীতি এসব দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।”

     

    এই বিষয়টি নিয়ে গত এক মাসে তৃতীয়বারের মত মুখ খুললেন অনুরাগ, “ছোট দলগুলো যখন ভারতের মতো বড় দলের সাথে খেলে তখন টিভি স্বত্ত্ব দিয়ে অনেক টাকা আয় করে। দ্বিস্তর নীতি হলে আর্থিক দিক দিয়ে অনেক ক্ষতির মুখে পড়বে তারা।”


     

    কিছুদিন আগেই র‍্যাঙ্কিংয়ের নিচের দিকে থাকা শ্রীলংকা ধবলধোলাই করেছে ওই সময়ে শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে। এই ব্যাপারটিকেও গুরুত্বের সাথে দেখছেন অনুরাগ, “ক্রিকেটে কোন দলকেই ছোট করে দেখার উপায় নেই। লঙ্কানদের সাথে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে হেরে গেল সেটা তো সবার জানা। যদি দ্বিস্তর নীতি হয় তাহলে এরকম সিরিজ তো আপনি দেখতেই পারবেন না! শীর্ষ দলগুলো যে সবসময় ভাল ক্রিকেট খেলবে সেটা বলা যায়না।”

     

    শুধু ছোট দল নয়, দ্বিস্তর নীতি ক্রিকেটের জন্যও ক্ষতিকর মনে করছেন বিসিসিআই সভাপতি, “দর্শকরা যদি ছোট দলগুলোর খেলা দেখা ছেড়ে দেয় তাহলে ক্রিকেট অনেক পিছিয়ে যাবে। ছোট দলগুলো যখন বড়দের সাথে ভাল খেলে চমক সৃষ্টি করে তখন সেটা তো সবার জন্যই বিস্ময়ের।” দ্বিস্তর নীতি বাস্তবায়ন হলে ভারত লাভবান হত সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ক্রিকেটের কথা ভেবেই নিজের এই সিদ্ধান্ত, “ এই নিয়ম চালু হলে বিসিসিআই লাভবান হত, কিন্তু তবুও আমরা এটার বিরোধিতা করছি। আমাদের কাছে ক্রিকেট সবার আগে। তাই সবাইকে সাথে নিয়েই এগুতে হবে।”