• " />

     

    ফিফা থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে ব্যালন ডি অর

    ফিফা থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে ব্যালন ডি অর    

    ফিফা ব্যালন ডি অর নিয়ে প্রতি বছরেই কত শোরগোল। ফুটবলপাড়া থেকে চায়ের কাপে ঝড় ওঠে প্রায়ই। তবে এখন থেকে আর পুরো পৃথিবী নয়, ব্যালন ডি’অরের পরিধি কেবল ইউরোপের গন্ডি পর্যন্তই থাকছে। ব্যালন ডি’অর থেকে ফিফা শব্দটা মুছে যাচ্ছে, তার মানে আগের সেই বৈশ্বিক আবেদন আর থাকছে না!

    ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটি মূলত ফরাসী ফুটবল কর্তৃপক্ষের পরিচালিত একটি পুরস্কার ছিল। ১৯৫৬ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্ ক্লাব’স কাপের (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) প্রথম আসর থেকে এই পুরস্কার দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রতিবছর সাংবাদিকদের ভোটের মাধ্যমে ইউরোপের সেরা ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর প্রদান করত ফরাসী প্রকাশনা সংস্থা ‘গ্রুপ অ্যামাউরি’। তবে ২০১০ সালে ফিফা ও ফরাসী ফুটবল সম্মিলিত হয়ে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার এবং ব্যালন ডি’অরকে একত্রিত করা হয়। তখন এর নাম দেয়া হয় ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’। প্রায় ১৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ব্যালন ডি’অরের সত্ত্ব ক্রয় করেছিলেন ফিফা’র তৎকালীন সভাপতি সেপ ব্লাটার।

    তবে ফিফা’র বর্তমান সভাপতি জিয়ানি ইনফান্তিনো সেই চুক্তি বাড়ানোর পক্ষে আগ্রহী নন। আর তাই ব্যালন ডি’অর ফিরে যাচ্ছে তার পুরনো রুপে। আগামী বছর থেকে ইউরোপ সেরা পুরস্কারের নাম আবারো ব্যালন ডি’অর হিসেবে চালু হবে। এ ব্যাপারে ফরাসী প্রকাশনা সংস্থা গ্রুপ অ্যামাউরি জানায়, “ব্যালন ডি’অর তার ঘরে ফিরছে।” ২০১০ সাল থেকে ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিকসহ জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়ক ভোট দিতে পারত। ফিফা থেকে ব্যালন ডি’অর পৃথক হওয়ায় এই পুরস্কারের বিজয়ী নির্বাচন করা এখন শুধুমাত্র ইউরোপের সাংবাদিকদের মাধ্যমে।

    এদিকে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফাও চালু করতে যাচ্ছে তাদের পুরনো ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের। ১৯৯১ সাল থেকে চালু হওয়া এই পুরস্কারটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেয়া হত। এরপর পুরস্কারটির নাম বদলে হয়ে যায় ফিফা ব্যালন ডি’অর। জুরিখে এই পুরস্কারটি দেয়া হত মূলত প্রতিবছর ডিসেম্বরের শুরুতে। তবে নতুনরুপ নেয়া ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের অনুষ্ঠান আয়োজিত হত জানুয়ারিতে। মজার ব্যাপার হলো, ২০১০ সাল থেকে চালু হওয়া ফিফা ব্যালন ডি’অর বিজয়ী ফুটবলার কেবল দু’জন- লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।