• " />

     

    ধোনিরা যেন ছিলেন দাগী আসামী!

    ধোনিরা যেন ছিলেন দাগী আসামী!    

    ঝড়ের গতিতে ছুটে যাচ্ছে পুলিশ ভ্যান। সামনে পিছনে কঠিন নিরাপত্তা বলয়। ধোনিদের মনে হচ্ছিল, যেন দাগি আসামীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাজতে। ২০০৭ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পরে দেশে ফেরার পর এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ভারতের ক্রিকেটারদের। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বে মুক্তি পাবে মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক ‘এমএস ধোনি-দ্যা আনটোল্ড স্টোরি’। সিনেমার প্রচারের জন্য স্ত্রী সাক্ষীকে নিয়ে ধোনি গিয়েছেন নিউইয়র্কে। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে ৯ বছর আগের সেই বিভীষিকাময় স্মৃতির কথা তুলে ধরেন ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক।

     

    পর্বতসমান প্রত্যাশা নিয়ে সেবার বিশ্বকাপে গিয়েছিল ভারতীয় দল। রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে তারকাখচিত দলটি শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল। দিল্লী বিমানবন্দরে আসার পর আশেপাশের সেই অবস্থা আজও মনে আছে ধোনির, ''দিল্লীতে নামার পর প্রচারমাধ্যমগুলো আমাদের ঘিরে ধরেছিল। মানুষ মনে করতে পারে, বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার আবেগটা আমাদের সেভাবে ছুঁয়ে যায়নি। কিন্তু আমি সব সময় মনে করি খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে সবকিছুর মধ্য দিয়ে যাওয়ার শক্তি থাকতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে এসে অথবা মাঠে যা হয়েছে সেটা নিয়ে কান্নাকাটি করাই সব নয়।''

     

    বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধোনিদের অভিজ্ঞতাটা ছিল আরও বাজে,  “একটা পুলিশ ভ্যানে উঠতে হয়েছিল আমাদের সবাইকে। তখন ছিল সন্ধ্যা বা রাত। আমি বসেছিলাম বীরুর (বীরেন্দর শেবাগ) পাশে। আমাদের গাড়ি চলছিল প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে। ভারতের রাস্তাগুলো এমনিতেই বেশ সংকীর্ণ, ওই গতিটা ছিল অনেক বেশি। চারপাশে মিডিয়ার গাড়ি ছিল। এমনভাবে আমাদের দিকে ক্যামেরা ধরে রেখেছিল যেন আমরা কোনো খুনী বা সন্ত্রাসী। আসলে উনারা আমাদের একরকম তাড়াই করছিল। এরপর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আমরা ১৫-২০ মিনিট পর নিজেদের গাড়িতে উঠলাম। ওই ঘটনা আমার ওপর অনেক বড় প্রভাব ফেলেছিল।”  বিমানবন্দরে যখন এই ঘটনা, ঠিক সেই সময়ে ধোনির রাঁচির বাড়িতে ঢিলও ছুড়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা।


    ওই বছরের সেপ্টেম্বরেই তাঁর নেতৃত্বে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এরপর ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কের ছোট্ট তালিকাতেও ঢুকে যান ধোনি।