বিদায়ী সংবর্ধনা পাচ্ছেন আফ্রিদি ?
তাঁর অবসর নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’ এই লাইনটি শহীদ আফ্রিদির অবসর ভাবনার সাথে পুরোপুরিই মিলে যায়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহুবার বিদায় বলেও ফিরে এসেছেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। অনেক জল্পনা কল্পনার পর ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছিলেন গতবছর। তবে একটা বিদায়ী সংবর্ধনা পাওয়ার অপূর্ণ বাসনা হয়ত ছিল। এবার সেই আশা পূর্ণ হচ্ছে তাঁর, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী কমিটির প্রধান নাজাম সেঠি জানিয়েছেন আফ্রিদি এবং সাইদ আজমলকে বড় পরিসরে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হবে।
অথচ কিছুদিন আগেও পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। আরব আমিরাতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৫ জনের দলে ছিলেন না আফ্রিদি। এরই মাঝে আফ্রিদিকে আশার বাণী শোনালেন নাজাম। পাকিস্তানি পত্রিকা এক্সপ্রেস নিউজকে তিনি জানান, “আমি আগামী সপ্তাহে আফ্রিদি এবং আজমলের সাথে দেখা করব। বোর্ড তাদেরকে বিদায়ী সংবর্ধনা পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করবে।”
কথা ছিল ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন । পিসিবির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান সেবার বলেছিলেন, “সেও একজন পাঠান আমিও একজন পাঠান। দুজন পাঠানের ভিতর কোন চুক্তি হলে সেটা আর বদলানো যায় না।” তবে পূর্বের মতো সেবারও নিজের মত বদলান আফ্রিদি। পরিবার এবং বন্ধুদের প্রচন্ড চাপে অবসরের ভাবনা থেকে সরে আসার কথা বলেন। তবে বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন, দল থেকেও বাদ পড়ে যান।
কিছুদিন আগে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অবসর নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন আফ্রিদি, “ সম্মানের সাথে খেলোয়াড়দের বিদায় জানানোর ইতিহাস নেই আমাদের দেশে। এজন্যই অবসরের ঘোষণা সহজে দিতে পারেন না কেউই। দেশের জন্য বছরের পর বছর খেলে যাওয়া মানুষগুলোকে সম্মানের সাথেই বিদায় জানানো উচিত।”
আফ্রিদির হতাশাটা বোধহয় এবার ঘুচতে চলেছে।