নিজেকে সুপারম্যান মনে করেন না এবি ডি ভিলিয়ার্স
ক্রিকেটের সুপারম্যান নামেই তাঁকে সবাই জানত। এবি ডি ভিলিয়ার্স মানেই তো নতুন কিছু রোমাঞ্চ। শুধু ক্রিকেটে নয়, ডি ভিলিয়ার্স অন্য খেলাগুলোতেও সমান পারদর্শী ছিলেন, এরকম একটা কথা প্রচলিত ছিল। তবে নিজের আত্মজীবনীমূলক বইয়ে এই ধারণাটি একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয় ‘এবি : দ্যা অটোবায়োগ্রাফি’ বইটি। অন্য খেলাগুলোতে যে তিনি ওইভাবে পারদর্শী ছিলেন না সেই ব্যাপারে সেখানেই খোলামেলা কথা বলেছেন এবি, “মানুষ আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলে। আমি নাকি অন্য কয়েকটি খেলাতেও দারুণ পারদর্শী ছিলাম! আমি স্কুল পর্যায়ে হকি খেলেছি মাত্র এক বছর, কিন্তু কখনোই জাতীয় দলের জন্য নির্বাচিত হইনি, এমনকি এটার ধারেকাছেও যেতে পারিনি।”
তিনি নাকি জাতীয় ফুটবলের দলের জন্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন! এই প্রসঙ্গে এবি লিখেছেন, “আমি তো কোনোদিন ওইভাবে ফুটবল খেলিইনি! স্কুলে পড়ার সময় ক্লাসের ফাঁকে বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতাম শুধু। এর পর শুধু ওয়ার্ম আপেই যা একটু খেলা হয়েছে।”
শোনা যেত, এবি নাকি জুনিয়র রাগবি দলের অধিনায়ক ছিলেন, ছিলেন অনূর্ধ্ব ১৯ ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নও! তবে এই ব্যাপারটাও একেবারেই গুজব, “আমি তো দেশের হয়ে কোনদিন রাগবি খেলিনি, অধিনায়কত্ব তো দূরের কথা! আর স্কুলে ব্যাডমিন্টন তো খেলাই হতনা আমার। জীবনে একবারই এটা খেলেছি, সেটা মার্ক বাউচারের সাথে। সেটাও মজা করার জন্যই।”
নিজের ব্যাপারে ‘মিথ’ গুলোকে একেবারেই উড়িয়ে দিলেও এটা স্বীকার করে নেন যে অন্য বেশ কিছু খেলাতে তাঁর আগ্রহ ছিল, “১৫ বছর বয়সে গলফে অনেকটাই উন্নতি করি আমি, তবে এখন আর বেশি খেলা হয়না। এটা সত্যি যে ছোটবেলায় গলফ, টেনিস, রাগবিতে আমার অনেক আগ্রহ ছিল। তবে ক্রিকেটটাই বেশি উপভোগ করেছি।”
তবে তাঁর ধারণা এসব বলার পরেও মানুষ ব্যাপারগুলো বিশ্বাস করেই যাবে, “আসলে ব্যাপারগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে গেছে, সেগুলো সেখানে থাকবেই। মানুষ বিশ্বাস করেছে এবং সামনেও করবে- অন্য সব খেলাতেও আমার দারুণ প্রতিভা ছিল। কিন্তু আসলে এটা সত্যি না।”