• " />

     

    ঠেকানো যেত না হিউজের মৃত্যু

    ঠেকানো যেত না হিউজের মৃত্যু    

    ফিল হিউজ নেই। দুবছর আগের এক অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মের দুপুরের দমকা হাওয়ায় ইউক্যালিপটাস পাতার মতো ঝরে  গেছেন ২৫ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। এতদিন পর তাঁর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার। তদন্তের প্রথম দিনে জানা গেছে, হিউজের মৃত্যুর পেছনে অ্যাম্বুলেন্সের দেরি করে আসার মতো কোনো কারণ নেই। দ্রুত হাসপাতালে নিতে পারলেও হয়তো বাঁচানো যেত না তাঁকে। শন অ্যাবটের বাউন্সার কাঁধে আঘাত করার সাথে সাথে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলীয় ওপেনারের।


    ২৫ নভেম্বর, ২০১৪। শন অ্যাবটের ছোঁড়া বাউন্সার কাঁধে আঘাত করার পর শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন সে সময় ৬৩ রানে অপরাজিত হিউজ। এরপর টাল সামলানোর কোনো চেষ্টা না করেই ক্রিজে মুখ থুবড়ে পড়েন। প্রতিপক্ষের ফিল্ডাররা দ্রুত ছুটে যান তাঁর কাছে। ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে পৌঁছান দলীয় চিকিৎসকও। তবে মাঠে অ্যাম্বুলেন্স আসতে সময় লাগে প্রায় মিনিট কুড়ি। শুনানিতে জানা গেল এর সঙ্গে সম্পর্কে নেই হিউজের মৃত্যুর।

    অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রধান শব পরীক্ষক মাইকেল বার্নসকে প্রধান করে গঠিত কমিটি ফিল হিউজের মৃত্যুর ব্যাপারটা অনুপূঙ্খ তদন্ত করছে। এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে আসলে ভবিষ্যতের কথা ভেবেই। মাঠে ক্রিকেটারের মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সুপারিশ করবে তারা।

    আজ শুনানি চলাকালে শেফিল্ড কাপের সেই ম্যাচের ভিডিও বিশ্লেষণ করে চিকিৎসক বলেছেন অস্ট্রেলীয় ওপেনারের কাঁধে বাউন্সার আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে রক্তবাহী ধমনী ছিঁড়ে যায়। মূলত এ কারণেই মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন হিউজ।

    তদন্ত কমিটির প্রধান মাইকেল বার্নস বলেছেন, “ক্রিকেট খেলায় কিছু ঝুঁকি থাকেই। তবে মাঠে কোনো খেলোয়াড়ের মৃত্যু খুবই অপ্রত্যাশিত ও বেদনাদায়ক।”