অধিনায়কের ভুলে হলো না বিশ্বরেকর্ড
হাতছানি দিচ্ছিল ১০ বছর আগের এক বিশ্বরেকর্ড। আর কিছুক্ষণ থাকলেই হয়ত ছাড়িয়ে করা যেত কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনের -কুমার সাঙ্গাকারার জুটির করা সেই অভাবনীয় কীর্তি। কিন্তু রেকর্ডের ব্যাপারে জানতেনই না ক্রিজে থাকা অধিনায়ক! মাত্র ৩০ রান দূরে থাকতেই ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন ,নিজের অজান্তেই হাতছাড়া হয়ে গেলো রেকর্ডটি। রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লীর বিপক্ষে মহারাষ্ট্রের হয়ে ৫৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন স্বপ্নীল গুগালে ও অঙ্কিত বাউনে জুটি। দিনশেষে অবশ্য এই সিদ্ধান্তের জন্য আফসোসও করেছেন অধিনায়ক স্বপ্নীল।
রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে থেকে কেন ইনিংস ঘোষণা করলেন এই প্রশ্নের জবাবে স্বপ্নীল জানান, “আমি ড্রেসিংরুমে ফিরে দেখি ফোনে ১০০ টা মিসকল এবং ২০০ টার মতো খুদেবার্তা। যখন সেগুলো পড়লাম তখন বুঝতে পারলাম আমরা রেকর্ডের কত কাছে ছিলাম! তাই সামান্য হতাশা কাজ করছে। মনে হচ্ছে আমি রেকর্ডটা হওয়ার পরেই ইনিংস ঘোষণা করতে পারতাম। যেহেতু সিদ্ধান্তটা একান্তই আমার, তাই কাওকে দোষ দিতে পারছি না।”
প্রথমবারের জন্য দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে করেছেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিও। স্বপ্নীলের জন্য স্বপ্নের মতই কাটছিল ম্যাচটি, “খেলার আগ মুহূর্তে আমি জানতে পারি অধিনায়কত্বের ব্যাপারটা। অনূর্ধ্ব ১৯ এবং ২৫ দলে আমার অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা আছে। ব্যাপারটায় আমি গর্বিত। ২০ ম্যাচেরও কম খেলে এই দায়িত্ব পাওয়াটা আমি আশা করিনি! মাত্র তিন মৌসুম ধরে নিয়মিত খেলছি আমি। আমি অবাক হয়েছিলাম, কিন্তু খুশিও ছিলাম একইসাথে।”
টেস্ট ক্রিকেটে তো বটেই, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬২৪ রানের জুটি গড়েছিলেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের মতো গুগালে ও বাউনের জুটিও তৃতীয় উইকেটে। একসাথে ব্যাট করেছেন প্রায় ১২ ঘণ্টার মতো। বিশ্বরেকর্ড ভাঙতে না পারলেও এই জুটি ভেঙ্গেছে ৬০ বছরের পুরনো রেকর্ড। বরোদা দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে হোলকার স্টেডিয়ামে করা বিজয় হাজারে- গুল মোহাম্মদের করা ৫৭৭ রানের জুটিকে ছাড়িয়ে গেছে দুজন। স্বপ্নীল অপরাজিত ছিলেন ৩৫১ রানে, বাউনে করেছিলেন ২৫৮ রান।