• " />

     

    উইলিয়ানের জন্য জিতল চেলসি

    উইলিয়ানের জন্য জিতল চেলসি    

    গত দু'বারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন দুই দল। মুখোমুখি দুই ইতালিয়ান ম্যানেজারও। ক্লদিও র‍্যানিয়েরির প্রতিপক্ষ আবার নিজের পুরোনো ক্লাবও। দুই দলের কারও জন্যই মৌসুমের শুরুটা সুখকর হয়নি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসি- লেস্টার সিটির লড়াইটা তাই ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই অনেকগুলো সমীকরণের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল দুই ম্যানেজারকে। 

    সমীকরণ যেমনটাই থাকুক, কন্তের চেলসি পুরো পাস মার্ক নিয়েই উতরে গেছে লেস্টার পরীক্ষা। ঘরের মাঠে লেস্টার সিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। অন্যদিকে এই মৌসুমে আট ম্যাচ খেলে মাত্র দু'টিতে জয়ের দেখা পাওয়া লেস্টার সিটির জন্য বাস্তবতাটা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে ধরা দিচ্ছে সামনে। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা হয়ত সপ্তাহ শেষে পয়েন্ট তালিকার ১২ নম্বর জায়গাটাও ধরে রাখতে পারছে না আর! 

    লেস্টার সিটির এমন অবস্থা অবশ্য খুব একটা চমক হিসেবে দেখছেন না ফুটবল বোদ্ধারা। তবে কন্তের অধীনে চেলসির অধারাবাহিক পারফরম্যান্সে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল এরই মধ্যে। নিন্দুকের কথার বেশ কড়া এক জবাবই দিয়েছেন চেলসি ম্যানেজার। 

    ম্যাচের মাত্র ৭ মিনিটেই ডিয়েগো কস্তার গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। হ্যাজার্ডের নেয়া কর্নার থেকে ম্যাটিচের ব্যাক ফ্লিকে বল পান ডিয়েগো কস্তা। বক্সের ভেতর থেকে জোরালো কিকে বল জালে জড়াতে একেবারেই সমস্যা হয়নি স্প্যানিশ এই স্ট্রাইকারের! গোলের পর হাতের আঙ্গুলে 'ডব্লিউ' লিখে সতীর্থ উইলিয়ানের মাকে গোলটি উৎসর্গ করেন ডিয়েগো কস্তা। এই সপ্তাহেই মাকে হারিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। লেস্টার বিপক্ষে উইলিয়ানের না থাকার কারণটাও তাই।  

    দ্বিতীয় গোলের আগে পরেও নিজেদের আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে যায় চেলসি। ৩৩ মিনিটে চেলসিকে দুই গোলের লিড এনে দেন হ্যাজার্ড। গোলের পর উইলিয়ানকে মনে করেছেন তিনিও। প্রথমার্ধে তেমন খুঁজেই পাওয়া যায়নি ভার্ডিদের। ৪৫ মিনিট শেষে চেলসির ৭০ শতাংশ বল পজেশনই তার স্বাক্ষর রাখে অবশ্য!   

    দ্বিতীয়ার্ধে লেস্টার সিটিকে ম্যাচের ফিরতে হলে দারুণ কিছুই করতে হতো। শুরুটা অবশ্য একেবারে মন্দ করেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে ওই শুরুর ধাক্কাটা বেশ ভালো ভাবেই সামলে নিয়েছে চেলসি ডিফেন্ডারেরা। ওই সময়টুকু বাদে পুরো ম্যাচে প্রায় হেসে খেলেই জিতে গেছে চেলসি। স্কোরকার্ডও বলছে তেমন কথাই! 

     
    দ্বিতীয়ার্ধের ৮০ মিনিটে ভিক্টর মোসেস গোল করে ৩-০ গোলের সহজ জয়টা নিশ্চিত করেন। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন টানা চার অ্যাওয়ে ম্যাচেই হারের মুখ দেখল।