‘গোলাপি বলের’ টেস্টে ক্লার্কের সমর্থন
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। তবুও ফ্লাডলাইটের আলোয় চলছে টেস্ট ম্যাচ! শত বছরের প্রথা ভেঙ্গে ২০১৪ সালে দিবা-রাত্রির টেস্টের কথা যখন প্রথম আলোচনায় আসে, অনেকের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও ব্যাপারটি ভালো চোখে দেখেননি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বদলেছে তাঁর ধারণাও। এখন তিনি ক্রিকেটের এই নতুন সংস্করণের পক্ষেই কথা বলছেন।
নিজের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মাই স্টোরি’তে গোলাপি বলের টেস্টের প্রশংসাই করেছেন ক্লার্ক, “ যেসব বিষয় টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি দর্শকের আগ্রহ বাড়াবে, সবসময়ই সেগুলোর পক্ষে আমি। এটার মানে যদি হয় বেশি বেশি দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলা, তাতেও আমার আপত্তি নেই!”
সাধারণত টেস্ট ক্রিকেটে দর্শকের উপস্থিতি ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির চেয়ে তুলনামূলক কম হয়। কিন্তু দিবা-রাত্রির টেস্ট প্রচুর দর্শক টেনেছিল গত বছরের অ্যাডিলেড টেস্টে। দিবা-রাত্রির টেস্টকেই ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বলে মানছেন ক্লার্ক, “আমার মনে হচ্ছে দিবা-রাত্রির টেস্ট দেখতে অনেক বেশি মানুষ মাঠে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সময় বড় একটা ইস্যু। কারণ স্কুল, অফিস শেষ করেই তাঁরা খেলা দেখতে যেতে পারছে।”
ক্রিকেটের বিশ্বায়নের জন্য টি-টোয়েন্টির পিছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়েছে গত কয়েক বছরে। এবার টেস্টেও একই অর্থায়ন দেখতে চান সাবেক এই অজি ব্যাটসম্যান, “ টি-টোয়েন্টির পেছনে অনেক টাকাই তো খরচ করা হয়েছে। এখন টেস্টের পেছনে টাকা খরচের সময় এসেছে।”
আগামী মাসেই অ্যাডিলেডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখানেই ইতিহাসের প্রথম ‘গোলাপি বলের’ টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল।