• " />

     

    আমিরকে আগেই সতর্ক করেছিলেন শোয়েব

    আমিরকে আগেই সতর্ক করেছিলেন শোয়েব    

    শোয়েব আখতারের দাবি সত্য হলে মোহাম্মদ আমিরের অপরাধটা হয়ে যায় আরো বড়। বুকিদের সম্পর্কে সতর্ক করার পরও তাঁর কথা শোনেননি আমির। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা দেয়ার এক বছরের মধ্যেই আমিরকে  ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অন্ধকার জগত সম্পর্কে সবক দেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। কিন্তু সে কথা কানে তোলেননি ১৮ বছর বয়সী আমির।ফলাফল সে বছরই লর্ডস টেস্টে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অধিনায়ক সালমান বাট ও পেস সঙ্গী মোহাম্মদ আসিফের সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন তরুণ বাঁহাতি পেসার। বিলেতের লাল দালানের ভাতও খেতে হয় তিনজনকেই।

    পাকিস্তানের জিও টিভির এক অনুষ্ঠানে এসে শোয়েব বলেছেন, “২০১০ সালেই আমি আমিরকে সাবধান করে দিয়েছিলাম এমন লোকদের সঙ্গে না মিশতে যারা ওকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দিকে প্রলুব্ধ করতে পারে।” সে কথা যে তিনি শোনেননি সেটা তো পরের ঘটনাক্রম দেখেই বোঝা যায়।ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি অনেকদিনই ক্রিকেটের সফেদ মূর্তিতে কাদা লাগিয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক এই গতি তারকা মনে করেন ম্যাচ পাতানোর কুকীর্তি সবচেয়ে গভীরে শেকড় গেড়েছিল ১৯৯৬ সালে। অবশ্য সে সময় শোয়েবের অভিষেকই হয়নি। ১৯৯৭ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শোয়েব আখতারের।

    দলের আশেপাশে মন্দ লোকদের ঘোরাফেরা দেখলেও শোয়েবের দাবি সেসব তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি, “আমি সবসময় ফিক্সারদের থেকে দূরে থাকতাম এবং অন্যদেরও সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে খেলতে বলতাম।”

    শুধু ম্যাচ পাতানোর বিপক্ষে অবস্থান নেয়াই নয়, শোয়েব বলেছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ ও শহীদ আফ্রিদির মধ্যকার সাম্প্রতিক কাদা ছোঁড়াছুড়ির সমাপ্তিও হয়েছে তাঁর মাধ্যমে। আফ্রিদিকে তিনিই বুঝিয়ে-শুনিয়ে বড়ে মিয়ার নামে উকিল নোটিশ পাঠানো থেকে নিরস্ত করেছেন। কারণ সেটা, “প্যান্ডোরার বাক্স খোলা ছাড়া এটা আর ভাল কিছু করবে না” বলেছেন শোয়েব।