• " />

     

    'অস্ট্রেলিয়ার বিষফোঁড়া ছিলেন ক্লার্ক'

    'অস্ট্রেলিয়ার বিষফোঁড়া ছিলেন ক্লার্ক'    

    মাঠের খেলায় সাফল্য পেলে সমবেত উল্লাসে তাঁরা গলাগলি করে হাসিমুখে ক্যামেরাবন্দী হন। টিভির পর্দায় কিংবা খবরের কাগজের পাতায় ওসব দেখলে কারও কি ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ হবে, মনের ভেতর একে অন্যের প্রতি এতোটা বিদ্বেষ পুষে বেড়িয়েছেন তাঁরা সবসময়! অবসরে গিয়ে অজি ক্রিকেটাররা যেন পরস্পরের বিশোদগারেই খবরের শিরোনাম হতে বদ্ধ পরিকর। সে ধারাবাহিকতায় এবার মাইকেল ক্লার্কের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সাবেক পেসার মিচেল জনসন। ক্লার্কের নেতৃত্বের সময়টায় অস্ট্রেলিয়া দলের ভিতরের পরিবেশটা ‘বিষাক্ত’ হয়ে উঠেছিল বলে মন্তব্য জনসনের।

     

     

    জনসন বলছেন, রিকি পন্টিংয়ের যুগ শেষে মাইকেল ক্লার্কের কাছে অধিনায়কত্ব যেতেই অজি শিবিরে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে, “সবকিছু কেমন বদলে যাচ্ছিল। সেটা বেশ ধীরগতিতেই হচ্ছিল। তবে সবাই পরিবর্তনটা দেখতে পাচ্ছিল, অনুভব করতে পারছিল। কিন্তু কারোরই যেন কিছু করার ছিল না। ওটা একসময় আর কোনো দল থাকলো না। ছোট ছোট উপদলে ভাগ হয়ে গেলো।”

     

    অনেক খেলোয়াড়ই ক্লার্কের নেতৃত্বে খেলতে চাইতেন না বলেও দাবী জনসনের, “দেশের জন্য খেলাটা আপনি অবশ্যই উপভোগ করতে চাইবেন। কিন্তু ওই দলের পরিবেশ মোটেও উপভোগ্য ছিল না। কী বাজে একটা সময় গেছে, অভিজ্ঞতাটা মোটেও সুখকর কিছু ছিল না। আমরা কেউ কেউ খেলতেও চাইতাম না। নতুন যারা দলে আসতো তাঁরাও টের পেতো নেতিবাচক ব্যাপারগুলো।”

     

    ২০১৩ সালের ভারত সফর থেকে জনসনসহ চার ক্রিকেটারকে বাদ দেয়া হয় তৎকালীন কোচ মিকি আর্থারের কথা না শোনায়। তবে জনসন মনে করেন, ওই বাদ পড়ার পিছনে কলকাঠি নেড়েছিলেন ক্লার্কই। আর এ ঘটনার পরই মূলত ক্লার্কের সাথে জনসনের সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে।

     

    তবে সম্প্রতি প্রকাশিত মাইকেল ক্লার্কের আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, শুধু জনসনই নয়, সাবেক অজি ক্যাপ্টেনের সাথে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করেছিল আরও অনেকেরই। ২০১৩ সালের ওই সফরের সময় অনেক খেলোয়াড়ের আচরণকে ‘টিউমার’-এর সাথে তুলনা করেন ক্লার্ক। এমনকি তাঁর তৎকালীন সহ-অধিনায়ক শেন ওয়াটসনকে ‘ক্যান্সার’ বলে মনে হতো ক্লার্কের কাছে!