• " />

     

    বাংলাদেশ সফরে না আসায় আফসোস নেই হেলসের

    বাংলাদেশ সফরে না আসায় আফসোস নেই হেলসের    

    নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ সফরে আসা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল গুলশান হামলার পরেই। তবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান রেগ ডিকাসন বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়ার পর সবুজ সংকেত দিলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। এই সফরে আসার ব্যাপারে শুরু থেকেই সন্দিহান ছিলেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এউইন মরগান, দলের কাউকেই সফরে যাওয়ার ব্যাপারে জোর করা হবে না বলেও জানিয়েছিলেন। তাঁর সাথে সুর মেলান ওপেনিং ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসও। শেষপর্যন্ত দুজনের কেউই আসেননি দলের সাথে। তবে নিজের এই সিদ্ধান্তে মোটেও আফসোস নেই হেলসের।

     

    সবে মাত্র ১১ টি টেস্ট খেলেছেন। ওয়ানডের সংখ্যাটাও মাত্র ৩৪। ক্যারিয়ারের এই সময়ে এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া মোটেও সহজ ছিল না বলেই জানিয়েছেন হেলস, “ এটা আমার জন্য খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। অনেক সময় নিয়েছিলাম সেটি নিতে। অনেক নির্ঘুম রাত গিয়েছে, কিন্তু আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হতো। কিন্তু আমি এটার জন্য আফসোস করি না একদমই। এখন কিংবা ভবিষ্যতে কখনোই করব না। সামনের কয়েক মাস এবং বছর জুড়ে এই ব্যাপার নিয়ে হা হুতাশ করার মানেই হয়না। ”

     

     

     

    নিরাপত্তার ব্যাপারে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেও সফরে আসার সিদ্ধান্তটা ক্রিকেটারদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন ইংলিশ ক্রিকেট দলের পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। বেন স্টোকসও মরগান এবং হেলসের পাশেই ছিলেন, “সতীর্থদের সমর্থন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান বিপক্ষে সিরিজের পর থেকেই এসব ব্যাপারে দলের ভিতর কথা হচ্ছিল। দলের কয়েকজন সফরে না আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল। কিন্তু সবাই যে সিদ্ধান্তই হোক না কেনো আমরা সবাই সেটার পাশে থাকব বলেই জানিয়েছিলাম।”

     

    ট্রেন্ট ব্রিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭১ করেছিলেন, ওয়ানডেতে কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যানের সেরা স্কোর। নিজের সেরা ফর্মে এরকম একটা সিদ্ধাত নিয়ে ভক্তদের মাঝেও দেখা গিয়েছে মিশ্র অনুভূতি। তবে তাঁদের থেকেও আশাতীত সমর্থন পেয়েছেন বলেই জানান, “সবার কথাবার্তা আশাতীত রকমের ইতিবাচক ছিল।  আমার তো মনে হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমগুলোতে আমাকে ধুয়ে দেয়া হবে!”

     
     

    সফরে না আসার সিদ্ধান্ত তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারকে অনিশ্চয়তার মুখেই ফেলে দিয়েছে। শ্রীলংকা সিরিজের সময় তাঁর গড় ছিল ৫৮.৪০। তবে পাকিস্তান সিরিজে ফর্মটা ভালো যায়নি। হাসিব হামিদ এবং বেন ডাকেট এই সফরের নতুন মুখ। ভালো খেললে হেলসের জায়গাটা হয়তো এই দুজনই নিতে পারেন ভবিষ্যতে। তবুও তাঁদেরকে শুভকামনা জানাচ্ছেন হেলস, “আমি অবশ্যই চাইব তাঁরা ভালো খেলুক। বাংলাদেশ এবং ভারতে ভালো কিছু করতে পারাটা দারুণ হবে। যারাই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে নামবে তাঁদেরকেই শুভকামনা জানাব আমি।”

     

    ভারত সফরে টেস্ট দলে নেই, কবে দলে ফিরবেন সেটাও জানেন না। তবে আবার সাদা জার্সিতে ফেরার ইচ্ছার কথা জানান হেলস, “আশা করি আবার টেস্ট খেলবো। এই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছি না আমি। ক্লাব ক্রিকেটে আমি ভালো খেলার চেষ্টা করবো এবং দলে ফিরব। সামনে একটা ব্যস্ত সময়সূচী রয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটের। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং আরও কিছু সিরিজ খেলবে দল। আশা করি অ্যাশেজের আগেই টেস্ট দলে ফিরতে পারবো। আমার জীবনে অনেক উত্থান পতন এসেছে। টেস্টে যেমনটা খেলতে চেয়েছিলাম সেটা হয়ে ওঠেনি। তবুও আমি বলবো, জীবনের পতনের দিনগুলোও আমি উপভোগ করেছি। “

     
     
     

    ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে, টেস্টেও প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। দলের এই সাফল্যে খুশি হেলস, “ দলের খেলায় আমি দারুণ খুশি। সিরিজটা কঠিন ছিল আমাদের জন্য, বাংলাদেশ অনেক শক্ত প্রতিপক্ষ। টেস্টেও দারুণ একটা ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড, আশা করি ২য় টেস্টেও এটার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে তাঁরা।”