হেইন্স, গেইলের পর ব্রাফেট
ক্রেগ ব্রাফেট উইকেটে ছিলেন ১১৫.৪ ওভার। ক্রিজের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেছেন সতীর্থদের আসা-যাওয়া। ওয়াহাব রিয়াজ-মোহাম্মদ আমিররা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবকটি উইকেট তুলে নিলেও পারেননি ওপেনার ব্রাফেটের উইকেটটি নিতে। ৩১৮ বলে ১৪২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা ব্রাফেট গড়েছেন পঞ্চম উইন্ডিজ ক্রিকেটার হিসেবে গড়েছেন ‘ক্যারি দ্য ব্যাট থ্রু’র প্রশংসনীয় রেকর্ড। দলকেও এনে দিয়েছেন ৫৬ রানের লিড। পরে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান, দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে আছে মাত্র ৩১ রানে। সিরিজের প্রথম জয়ের সুবাসও এখন নাকে লাগতে শুরু করেছে হোল্ডারদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বশেষ এই কীর্তি করেছিলেন ক্রিস গেইল। ২০০৯ সালে অ্যাডিলেডে অপরাজিত ১৬৫ রান করার সময় এ রেকর্ড করেন ক্যারিবীয় ওপেনার। তাঁদের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ইনিংসের আগাগোড়া ব্যাট করেছিলেন ফ্রাঙ্ক ওরেল, কনরাড হান্ট ও ডেসমন্ড হেইন্স। এঁদের মধ্যে হেইন্স একাই তিনবার এই রেকর্ড করেন।
টেস্টে ইনিংসের আগাগোড়া ব্যাট করা ৫১তম ব্যাটসম্যান ব্রাফেট। এই তালিকায় আছেন একজন বাংলাদেশিও। তিনি জাভেদ ওমর। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে ১৬৮ বল খেলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ওমর। ওয়ানডে ক্রিকেটেও এ রেকর্ড করা একমাত্র বাংলাদেশি ওপেনার তিনি।
ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘ক্যারি দ্য ব্যাট থ্রু’ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান বার্নার্ড টানক্রেড। সেবার অবশ্য মাত্র ৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় তাঁর দল। এর মধ্যে ২৬ রানই ছিল অকাল প্রয়াত এই ক্রিকেটারের করা।