• " />

     

    ইতিহাস গড়ে শীর্ষে মারে

    ইতিহাস গড়ে শীর্ষে মারে    

    প্যারিস মাস্টার্সের সেমিফাইনাল। বার্সি স্টেডিয়ামে মিলোস রাওনিকের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত অ্যান্ডি মারে। ঠিক সেই সময়েই জানা গেল, ইনজুরির কারণে রাওনিক ম্যাচ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। ওয়াকওভার পেয়ে মারে চলে গেলেন ফাইনাল। কিন্তু একই সাথে গড়লেন ইতিহাসও। ১৯৭৩ সালে র‍্যাঙ্কিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর প্রথম ব্রিটিশ হিসাবে শীর্ষে উঠলেন তিনি। সাথে শেষ হলো নোভাক জোকোভিচের ১২২ সপ্তাহের রাজত্বের অবসান। মারের চেয়ে বেশি বয়সে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন জন নিউকম্ব, ১৯৭৪ সালে তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর ১১ দিন।  

     

    ২০১৬ সালটা এক কথায় অসাধারণ কেটেছে মারের। ২৯ বছর বয়সী এই স্কটিশ ১২ টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে ১১ টির ফাইনালে উঠেছেন, জিতেছেন অলিম্পিক সোনাও। এক বছরে জিতেছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ টি ম্যাচ। বছরের শেষে এসে পেলেন এসবের প্রতিদান। এই অর্জনে গর্বিত মারে, “আনি কখনোই ভাবিনি বিশ্বের এক নাম্বার খেলোয়াড় হবো!। অনেক বছরের সাধনার ফল এটি। কাজটা অনেক কঠিন ছিল, এতেই বোঝা যায় আপনার সমসাময়িক খেলোয়াড়রা কত ভালো মানের।”

     

    যাকে হটিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছেন, সেই জোকোভিচেরও প্রশংসা করলেন মারে, “শেষ কয়েকটা সপ্তাহ ছাড়া নোভাকেরও বছরটা দারুণ গিয়েছে। এই পর্যন্ত আসতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।”

     

    বছরটা শুরু থেকেই মারের জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। ফেব্রুয়ারিতে কন্যা সন্তানের বাবা হন। শেষে এসে এই অর্জন আরও স্মরণীয় করে রাখল বছরটাকে। ২৬ তম খেলোয়াড় হিসাবে শীর্ষে ওঠা মারে গত নভেম্বরে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ দলকে ডেভিস কাপও জিতিয়েছিলেন।