• " />

     

    গালাগালি বেড়ে গেছে আম্পায়ারদের প্রতি!

    গালাগালি বেড়ে গেছে আম্পায়ারদের প্রতি!    

    ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট। কিন্তু চাঁদের অন্য পিঠের মতো এখানেও আছে পিণ্ড পিণ্ড অন্ধকার। ব্যাটসম্যান-বোলারদের মধ্যে স্লেজিংয়ের বাড়-বাড়ন্ত তো আগে থেকেই ছিল। এখন জানা যাচ্ছে গালাগালির তুবড়ি অবলীলায় ছোটে এমনকি আম্পায়ারদের উদ্দেশ্যেও। খোদ ক্রিকেটের আঁতুড় ঘর ইংল্যান্ডে চালানো এক জরিপে জানা গেছে সেদেশের অর্ধেক আম্পায়ারকেই হজম করতে হয় অশ্রাব্য গালাগাল।

    ইংল্যান্ডজুড়ে ৭৬৩ জন আম্পায়ারের ওপর একটা জরিপ চালিয়েছেন পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। বিষয়বস্তু, তাঁদের কতটা অশালীন ও আগ্রাসী আচরণের শিকার হতে হয় তা বের করে আনা। তাতে যে ফলাফল পাওয়া গেল তা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। ৫০ শতাংশেরও বেশি আম্পায়ার বলেছেন সাম্প্রতিক সময়ে আম্পায়ারদের প্রতি গালাগাল ও আগ্রাসী আচরণ অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

    ডার্বিশায়ারে ছয় বছর ধরে কাজ করা এক আম্পায়ার জানিয়েছেন তাঁর হেনস্তা হওয়ার ঘটনা, “একবার এক খেলোয়াড় আমার গায়ে থুতু দিয়েছিল। কেউ আপনার গায়ে থুতু দিলে কেমন লাগবে? আমার মনে হয় এর চেয়ে গা ঘিনঘিনে ব্যাপার আর হতে পারে না।”

    সেই আম্পায়ার আরো বলেছেন, “আমি গালাগালির মুখোমুখি হয়েছি। সবসময় এটা ঘটে, প্রতিটি ম্যাচেই।”

    শুধু গালাগালি কিংবা থুতু ছিটানোতেই সীমাবদ্ধ নেই খেলোয়াড়দের অভব্য আচরণ। জরিপে অংশ নেয়া তিন শতাংশ আম্পায়ার বলেছেন তাঁদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডে অপেশাদার পর্যায়ে পাঁচটি ম্যাচ বাতিল করতে হয়েছিল সহিংসতার জন্য।

    জরিপকারী দলের প্রধান ড. টম ওয়েব বলেছেন, “এই ব্যাপারটা বিশেষ করে ক্রিকেটে এখন নিয়মিতভাবেই ঘটছে। এটা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে যায় না। এ নিয়ে কিছু করার এখনই সময়।”

    আম্পায়ারদের সঙ্গে অভব্য আচরণের বাড়-বাড়ন্ত ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবকেও। ক্রিকেটের আইন প্রস্তুতকারী ক্লাবটি এসব ঘটনায় শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত দলকে রান জরিমানা করার পাশাপাশি হেনস্তাকারী খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে বহিস্কারের ক্ষমতা দেয়ার কথাও ভাবছে। এমসিসির প্রধান আইন কর্মকর্তা ফ্রেজার স্টুয়ার্ট বলেছেন, “এ বছর বিষয়টি আমরা অনুসরণ করেছি। চেষ্টা করছি এ ব্যাপারে সবার মতামত নিতে। এখন পর্যন্ত সবাই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই দেখিয়েছেন, “