মেসির ফেরায় হাসল আর্জেন্টিনা
একটু একটু করে চাপ বাড়ছিল চারদিক থেকে। আগের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের সঙ্গে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ছয়ে খাবি খাচ্ছিল, সর্বশেষ চার ম্যাচে কোনো জয়ই যে পায়নি। এর মধ্যে সর্বশেষ দুই ম্যাচেই আবার হেরেছে। অবশেষে মেসি ফিরলেন তাঁর মতো, আর্জেন্টিনাও হাসল । কলম্বিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে অনেক স্বস্তির এক জয় পেয়েছে, উঠে এসেছে বাছাইপর্বের শীর্ষ পাঁচে। আর সেই দিনটা এর চেয়ে বেশি আর মেসির হতে পারত না।
এদগার্দো বাউজা এই ম্যাচের জন্য প্রথম একাদশে তিনটি বদলি এনেছিলেন। পাবলো জাবালেতা, এনজো পেরেজ ও গঞ্জালো হিগুয়েইনের জায়গায় দলে এসেছেন গ্যাব্রিয়েল মারকাদো, এভার বানেগা ও লুকাস প্রাতো। ছয় মিনিটেই গোল পেয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা, কিন্তু নিকোলাস ওটামেন্ডির হেড চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। দুই মিনিট পর সুযোগ পায় কলম্বিয়াও, কিন্তু কঠিন সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ফ্যালকাও। কিন্তু ১০ মিনিটেই আসে মেসির প্রথম মুহূর্ত। বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা, ২৫ গজ দূরত্বটা অসপিনাকে হারানোর জন্য হয়তো একটু বেশিই মনে হচ্ছিল। কিন্তু মেসির দুর্দান্ত ফ্রিকিকটা পোস্টে লেগে ঢুকে যায় জালের ভেতর।
২৩ মিনিটে আবারও গোল আর্জেন্টিনা, এবার মেসি অবশ্য গোলের কারিগর। তাঁর চিপ থেকে হেড করে দলকে আরও এগিয়ে দিয়েছেন লুকাস প্রাত্তো। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াকে দিয়ে করানো গোলটা তো মেসি প্রায় পাতে তুলে খাইয়েই দিয়েছিলেন। কলম্বিয়া রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বক্সে। ডি মারিয়াকে এমনভাবেই পাসটা দিলেন, গোল না করে উপায় ছিল না তাঁর! কলম্বিয়ার সঙ্গে জয়যাত্রা সাত ম্যাচ বাড়ল আর্জেন্টিনার, মেসিও জাতীয় দলের হয়ে নিজের রেকর্ডটা আরেকটু বাড়িয়ে নিলেন। তবে তার চেয়েও বড় কথা, আর্জেন্টিনাকে আবার জাগিয়ে তুললেন জীয়নকাঠি দিয়ে।