• " />

     

    কর্পোরেট চাকরির জন্য ক্রিকেট থেকে অবসর

    কর্পোরেট চাকরির জন্য ক্রিকেট থেকে অবসর    

    বয়স মাত্র ২৯। একজন ক্রিকেটারের জীবনের সেরা সময়টা হয়তো এটাই। কিন্তু স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক প্রেস্টন মমসেন এই বয়সেই বিদায় বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। হুট করেই কেন এই সিদ্ধান্ত? বড় কোন ইনজুরিতে পড়েছেন, নাকি পারিবারিক সমস্যা? নাহ, এসব কিছু নয়। কর্পোরেট জগতে চাকরির সুযোগ পেয়েই এই কাজটি করেছেন তিনি।

     

    ৬ বছর আগে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। মাত্র ৪ বছরের মাথায় আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটির অধিনায়কত্ব লাভ করেন প্রেস্টন। আর তাঁর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বেই ২০১৫ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় স্কটল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর হাত ধরেই আন্তর্জাতিক কোন ইভেন্টে নিজেদের প্রথম জয় ছিনিয়ে আনে স্কটিশরা।

     

    এই অল্প সময়েই এত সাফল্য। সামনের দিনগুলোতেও আরও ভালো কিছুর আশায় ছিলেন সবাই। এর মাঝেই এলো এই অবাক করা ঘোষণা। প্রেস্টন নিজেও মানছেন সিদ্ধান্তটা খুব কঠিন ছিল, “অনেক ভেবেচিন্তেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াবো এবং স্কটল্যান্ড ক্রিকেটের সাথে চুক্তিটা নবায়ন করবো না। কর্পোরেট জগতের দারুণ এক সুযোগ পাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছে জীবনের এই মুহূর্তে এই কাজটা করতেই হতো।”

     

    বিদায়বেলায় দল এবং বোর্ডের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি প্রেস্টন, “ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি গত কয়েক বছরের সাফল্যে গর্বিত, একইসাথে আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দল দারুণ কিছু করবে।”

     

    সামনেই ২০১৯ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ের ঠিক আগে দলের অধিনায়কের এরকম বিদায়ে কষ্টই পেয়েছেন কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন। তবে প্রেস্টনকে শুভকামনাও জানিয়েছেন, “এটা দল এবং স্কটল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য অম্লমধুর পরিস্থিতি। তবুও আমরা প্রেস্টনের জন্য খুশি, সে ভালো একটা সুযোগ পেয়েছে। সে বুদ্ধিমান, উচ্চভিলাষী; কর্পোরেট জগতে সে ভালো কিছুই করবে। দলে তাঁর বিকল্প পাওয়া কঠিন হবে।”